• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

প্রিয় নবীজি যে কাজ পছন্দ করতেন না

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২  

মানুষ যে কোনো কাজ করতে গেলে তাড়াহুড়া করে। এটা মানুষের মজ্জাগত অভ্যাস। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ অত্যন্ত তাড়াহুড়াপ্রবণ।’ -(সুরা আল ইসরা:১১)

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে তাড়াহুড়ার প্রবণতা দিয়ে। অচিরেই আমি তোমাদের দেখাব আমার নিদর্শনাবলি। সুতরাং তোমরা তাড়াহুড়া করো না।’ –(সুরা আম্বিয়া: ৩৭)

আলোচ্য আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরকারকরা বলেছেন, মানুষের মজ্জায় যেসব দুর্বলতা নিহিত আছে, তন্মধ্যে একটি দুর্বলতা হচ্ছে অহেতুক তাড়াহুড়াপ্রবণতা। যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে ঠেলে দেয়, মানুষের ঈমান ও আমলকে ত্রুটিযুক্ত করে দেয়। 

নবীজি ( সা.) অহেতুক তাড়াহুড়াকে অপছন্দ করতেন। সাহাবি হজরত সাহল ইবনে সাআদ আস সায়িদি (রা.) বলেন, হজরত রাসুলে কারিম (সা.) বলেছেন, ‘ধৈর্য ও স্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে।’ –(সুনানে তিরমিজি: ২০১২)

নবী করিম (সা.) স্থিরতাকে প্রশংসনীয় গুণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এরূপ দুইটি গুণ আছে, যা আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন- সহিষ্ণুতা ও স্থিরতা।’ –(সুনানে তিরমিজি: ২০১১)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সারজিস আল মুজানি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম আচরণ, দৃঢ়তা-স্থিরতা ও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে নবুওয়তের চব্বিশ ভাগের এক ভাগ।’ –(সুনানে তিরমিজি: ২০১০)

তাড়াহুড়া করা নিষেধ বলে, এটা ভাবা যাবে না- সব বিষয়ে উদাসীন হয়ে উঠতে হবে। মহান আল্লাহর ইবাদত, বান্দার হক আদায় করার ব্যাপারে গুরুত্বহীন হয়ে উঠবে, বরং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সদা তৎপর থাকা মুমিনের কাজ। 

যে কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায়, ক্ষমাপ্রাপ্ত হওয়া যায়, সে কাজে বিলম্ব উচিত নয়, বরং মহান আল্লাহ তার বান্দাদের সে কাজে গুরুত্বসহকারে আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতিতে তাড়াতাড়ি আত্মনিয়োগ করার আদেশ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা তীব্র গতিতে চলো নিজেদের রবের ক্ষমার দিকে এবং সে জান্নাতের দিকে, যার বিস্তৃতি আসমানসমূহ ও জমিনের সমান, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকিদের জন্য।’ -সুরা আলে ইমরান: ১৩৩

এ আয়াতে ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে ক্ষমার অর্থ আল্লাহর কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া হতে পারে। তবে বেশিরভাগ মুফাসসিরের মতে, এখানে এমন সব সৎকর্ম উদ্দেশ্য, যা আল্লাহর ক্ষমা লাভের কারণ হয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –