জুমার দিনে যে ভুলগুলো থেকে বেঁচে থাকা জরুরি
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৩

জুমার নামাজ (আরবি: صَلَاة ٱلْجُمُعَة সালাত আল-জুমুআহ, ‘শুক্রবারের সালাত’) ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। جُمُعَة (জুমুআহ) শব্দটি আরবি, এর অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া।
যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরজরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে ‘জুমার নামাজ’ বলা হয়। আর সময় একই হলেও জোহরের সঙ্গে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে।
মুসলিম উম্মাহর কাছে সপ্তাহের পবিত্রতম এবং শ্রেষ্ঠ দিন জুমা বার। আর জুমার নামাজ প্রতিটি মুসলমানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ নামাজের সময় আমাদের কিছু ভুল হয়ে যায়। যেমন-
> পরিচ্ছন্ন না হয়ে জুমায় যাওয়া: জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করা জরুরি। অনেকে এদিনে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে, কোনোরকম জুমার ফরজ দুই রাকাত আদায় করে চলে আসেন। অথচ আবু সাইদ খুদ্রি (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য গোসল করা ওয়াজিব (জরুরি)। আর মিসওয়াক করবে এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে।’ (বুখারি : ৮৮০) তাই সবার উচিত জুমার দিন গোসল করা এবং মিসওয়াক করা। যদি সামর্থ্য থাকে, সুগন্ধি ব্যবহার করা। এ ছাড়াও ভালো ও পরিচ্ছন্ন জামা পরে মসজিদে যাওয়া। রাসূল (সা.) নিজেও এই দিন ভালো ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতেন।
> মসজিদে দেরি করে যাওয়া না যাওয়া: জুমার নামাজ শুধু দুই রাকাত নামাজ আদায়ে যথেষ্ট নয়। জুমার খুতবা শোনাও জরুরি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (সহবাস-পরবর্তীকালে) গোসলের মতো গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমন করে, সে যেন একটি উট কোরবানি করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে, সে যেন একটি গাভি কোরবানি করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে, সে যেন একটি শিং-বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল, সে যেন একটি ডিম কোরবানি করল। (বুখারি : ৮৮১) তাই জুমার নামাজের দিন পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম। তাহলে সময়মতো ও সঠিকভাবে নামাজ আদায় সম্ভব।
> জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ না করা: জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ করা নিষিদ্ধ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদের দিকে যাওয়া জরুরি। জুমার প্রথম আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা কিংবা অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া অথবা নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া উচিত। ইয়াহইয়া ইবনু সাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘লোকজন নিজেদের কাজকর্ম নিজেরাই করতেন। যখন তারা দুপুরের পর জুমার জন্য যেতেন, তখন সে অবস্থায়ই চলে যেতেন। তাই তাদের বলা হলো, যদি তোমরা গোসল করে নিতে ভালো হতো...।’ (বুখারি: ৯০৩)
> মনোযোগ দিয়ে খুতবা না শোনা: খুতবা শোনা জুমার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ঠিকভাবে খুতবা শোনাও জরুরি। তবে যদি মুসল্লি বেশি হওয়ার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে খুতবার আওয়াজ না শোনা যায়, তবে নীরব থাকা নিয়ম। আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওজু করে জুমার নামাজে এলো, নীরবে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল, তাহলে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং আরো অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি (অহেতুক) কঙ্কর স্পর্শ করল, সে অনর্থক, বাতিল, ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করল। (মুসলিম : ১৮৭৩)। প্রসঙ্গত, আরবি ও বাংলায় দেওয়া উভয় খুতবাই মনোযোগ দিয়ে শোনা জরুরি।
> খুতবার সময় কথা না বলা: খুতবা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বক্তৃতা, প্রস্তাবনা, ভাষণ, ঘোষণা, সম্বোধন ইত্যাদি। খুতবা জুমার নামাজের আগে দিতে হয়। খুতবা জুমার নামাজের শর্ত বা ফরজ। খুতবা ব্যতীত জুমার নামাজ হয় না। উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য শোনা ওয়াজিব। তাই খুতবা চলাকালে নিরর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
হাদিসের মাধ্যমে সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব ও কথাবার্তা বলা হারাম।
জাবের ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দুটি খুতবা দিতেন, উভয় খুতবার মাঝখানে বসতেন। খুতবায় তিনি কোরআন পড়তেন এবং জনগণকে উপদেশ দিতেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮০)
ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) জুমার দিন দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন, অতঃপর বসতেন, পুনরায় দাঁড়াতেন। যেমন- আজকাল তোমরা করে থাকো। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৭৯)
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- স্কুল থেকে ফিরে ঘরে ‘ছটফট’ করে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর
- বজ্রপাতে মৃত্যু রোধে ১৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে
- ৫০ বছর পর নেকমরদ বঙ্গবন্ধু কলেজকে সরকারি ঘোষণা
- গুপ্তধন ভেবে কাটলেন মর্টারশেল, বিস্ফোরণে পা বিচ্ছিন্ন
- ডিসিকে ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করায় বেরোবি শিক্ষকের অবস্থান কর্মসূচি
- যেমন পুরুষ সঙ্গী পেলে সুখী হয় নারী
- রমজানে টিকটক, রিলস নিয়ন্ত্রণের দাবি
- সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ
- ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হতো’
- দেশের কোথাও রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি
- অনিয়ম হলে জাতীয় নির্বাচনেও ভোট বন্ধ করব
- অপরিপক্ব লোকের হাতে মোটরসাইকেল চলে গেছে: সড়ক সচিব
- চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক চলছে
- পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা পরিবর্তনে কাজ করছে সরকার: উপমন্ত্রী
- দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ পায়রায় ভিড়বে এপ্রিলে
- নীলফামারীতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করায় জরিমানা
- ছেলেকে ধরিয়ে দিতে লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করলেন বাবা
- চরাঞ্চলে পুষ্টি মেলায় রান্না প্রতিযোগিতা
- গৃহহীনদের আরো ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সই
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে সজাগ সরকার: আইনমন্ত্রী
- রমজানে বাজার অস্থির হলে কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ভোক্তা অধিদফতর
- ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট মিলবে কোথায়, জানালেন রেলমন্ত্রী
- হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২৭ মার্চ পর্যন্ত
- ‘তৈরি পোশাক আমদানিতে ইউরোপীয়দের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ’
- কমলো হজের খরচ
- বাংলাদেশ এখন করোনামুক্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ‘বাংলাদেশকে বিমান চলাচলের কেন্দ্র হিসেবে গড়তে রোডম্যাপ করতে হবে’
- তামাকের নেশা থেকে দূরে থাকার আহ্বান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর
- মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ
- নতুন ডিসি পেল ৮ জেলা
- বিশ্ব কিডনি দিবস আজ
- এই জয়টা একটু আলাদা: মাশরাফী
- ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আসছে ১৮ মার্চ
- সম্পর্ক জোরদার করতে যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী ঢাকায়
- সর্বকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ইসরাইলে
- তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- কর্ণফুলী টানেলের কাজ ৯৬ শতাংশ শেষ, ডিসেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে মেয়াদ
- আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে- আশা সিইসির
- প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের ১১২ ডকুমেন্ট হস্তান্তর
- টাকার বিনিময়ে ফেসবুকের ব্লু ব্যাজ প্রসঙ্গে যা বললেন জাকারবার্গ
- আহতদের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন: ঢামেক পরিচালক
- হঠাৎ কাটা গাছে মানুষ আকৃতির ছবি
- সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
- শ্রীলংকাকে ২৯০ কোটি ডলার বেলআউট ঋণ দিলো আইএমএফ
- ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে কালচে ঠোঁটে হতাশা, রইল ঘরোয়া ৫ সমাধান
- ‘দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গত ১৪ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে’
- সরকারের মামলা পর্যবেক্ষণে সলট্র্যাক
- সাদুল্লাপুরের সেই সেচপাম্প চালু করল বিএডিসি