ভিডিও গেমের আদ্যোপান্ত
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮
অলস সময় পার করতে বা কাজের মধ্যে ক্লান্তি দূর করতে ভিডিও গেম অনেকের জন্য আশীর্বাদস্বরুপ! ভিডিও গেম অনেকের একটি প্রাত্যহিক অনুষঙ্গ। এটি মূলত ইলেক্ট্রনিক গেম। একটি ভিডিও ডিভাইসের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার জন্য ভিডিও গেমের ইন্টারফেস বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়। আর্কেড, কনসোল, কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন ও অন্যান্য যাবতীয় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের জন্য ভিডিও গেম বিবর্তিত হয়ে আসছে। আধুনিক যুগে ভিডিও গেমের জয়জয়কার সকল স্থানেই। কিন্তু সর্বপ্রথম ভিডিও গেম কেন এবং কোথায় তৈরি হয়েছিলো জানেন? বিজ্ঞান গবেষণাগারে, বিজ্ঞানীদের গবেষণা কাজে সহয়তার জন্য! সর্বপ্রথম পেটেন্টকৃত আমেরিকান ভিডিও গেমটির নাম শুনলেই হয়তো বুঝতে পারবেন, ১৯৪৮ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বানানো গেমটির নাম দেয়া হয়েছিলা-‘ক্যাথোড রে টিউব অ্যামিউজমেন্ট ডিভাইস’!
ভিডিও গেমের আধুনিক সূচনা
আবিষ্কারের শুরুর দিকে দ্য নিমরড কম্পিউটার, অক্সা, টেনিস ফর টু, স্পেসওয়ার সহ বেশ কয়েকটি গেম বানানা হয়। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই জনসাধারণের কাছে বিক্রর জন্য বাজারে ছাড়া সম্ভব হয় নি। কারণ সেগুলোর সাইজ এত বড় এবং নিয়ন্ত্রণ খরচ এত বেশি ছিলো যে, ল্যাবোরেটরির বাইরে সাধারণ জীবনে সেগুলো খেলা ছিলো দুঃসাধ্য। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন আসে যখন ‘রাল্ফ বেয়ার’ নামক ব্যক্তি তার টেলিভিশন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ভাবলেন, এই স্ক্রিনকে অন্য কি উপায়ে কাজে লাগানো যায়! বেশ কয়েকবছর ভাবার পর অবশেষে তিনি পেয়ে যান ভিডিও গেমের আধুনিক সূচনা। ১৯৭২ সালে রাল্ফের আইডিয়াতে পৃথিবীর সর্বপ্রথম সহজলভ্য গেমিং ডিভাইস ‘অডিসি’-এর সূচনা হয়। এটি ছিলো মূলত একটি গেম কনসোল। এটি ভিডিও গেমের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত একটি আউটপুট ডিভাইস। অডিসির উদ্ভাবণ মানুষকে টিভিতে গেম খেলার সুযোগ করে দেয়। ভিডিও গেমের ইতিহাসে এটি ছিলো একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। এজন্যই রাল্ফ বেয়ারকে ভিডিও গেমের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
ভিডিও গেমের বানিজ্যিক যুগ
একই সময়ে নোলান বুশনেল ও টেড ড্যাবনি নামের দুই ভদ্রলোক তাদের নিজেদের ছোট কোম্পানি ‘আটারি’-তে রাল্ফের মতোই একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছিলেন। আটারি’র সর্বপ্রথম গেম ছিলো আর্কেড গেম ‘পং’। এটি ছিলো বাণিজ্যিকভাবে সফল প্রথম ভিডিও গেম। ১৯৭৮ সালে এসে মিডওয়ে নামক অন্য একটি গেম কোম্পানির সঙ্গে আটারির প্রতিযোগিতা চরমে পৌঁছায়। জাপানি কোম্পানি তাইতোর জন্য মিডওয়ে একটি আর্কেড গেম রিলিজ করে, যেটির নাম ছিলো স্পেস ইনভেডারস। এখন পর্যন্ত স্পেস ইনভেডারস ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল আর্কেড গেমের রেকর্ড দখল করে আছে। এ গেমটির মাধ্যমিই আর্কেড গেমের সোনালি যুগের সূচনা হয়।
মিডওয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আটারি তখন বাজারে আনন ‘অ্যাস্টেরয়েডস’ নামের গেমটি। তবে এই গেমটি স্পেস ইনভেডারসের জনপ্রিয়তার ছুঁতে পারে নি। সর্বকালের সেরা ব্যবসা সফল আর্কেড গেমের তালিকায় অ্যাসটেরয়েডস আছে ৬ নম্বরে। ১৯৮০ সালে প্রথম রঙিন আর্কেড গেম বাজারে আসে। ওই বছরই জাপানি ভিডিও গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ন্যামকোর ‘প্যাকম্যান’ নামের একটি গেম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিয়ে আসে। ভিডিও গেমের বাণিজ্যিকীকরণে যেটি ছিলো একটি বিপ্লব। মাত্র ৩মাসে গেমটি ব্যবসা করে এক বিলিয়ন ডলার!
১৯৮১ সালে ‘ডাংকি কং’ নামের একটি ভিডিও গেম নিয়ে বাজারে আসে নিন্টেন্ডো। এটি ছিলো প্রথম কোনো স্টোরি লাইনযুক্ত ভিডিও গেম, সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয় অ্যালান ওয়েক, হেভি রেইন, গন হোম গেমগুলোর মতো। ডাংকি কং-এর স্টোরিলাইনটি ছিলো এমন-ডাংকি কং হচ্ছে জাম্পম্যান নামের এক ছুতোরের পোষা প্রাণী। জাম্পম্যান ডাংকি কং এর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় সে জাম্পম্যানের বান্ধবীকে চুরি করে নিয়ে পালায়। গেমের প্লেয়ারকে জাম্পম্যানের ভূমিকায় খেলতে হয়, টার্গেট থাকে বান্ধবীকে উদ্ধার করার। ঘটনাক্রমে পরবর্তীতে জাম্পম্যানের নামকরণ করা হয় ‘মারিও’। আশির দশকে আর্কেড গেমের সোনালী যুগের অন্যান্য গেমগুলো হলো ফ্রগার, ড্রাগনস্ লেয়ার, ও মারিও ব্রাদার্স এবং সর্বশেষে ডাবল ড্রাগনস। নব্বই এর দশকে আর্কেড গেমের জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে চলে যায়, যদিও ভিডিও গেমের বৈপ্লবিক জনপ্রিয়তা শুরু হতে তখনও অনেক দেরি!
ভিডিও গেমের ইতিহাসের দ্বিতীয় পর্বে জানাবো সেসব কথা। আজ এ পর্যন্ত।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- `জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি` ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
- তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে’
- বাংলাদেশ-ভারত আজ একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে: সেলিম মাহমুদ
- ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হব- প্রতিমন্ত্রী রিমি
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
- সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- পরিবারের হাল ধরতে চেয়ে হয়ে গেলেন বোঝা
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে ২৭ জনের মনোনয়ন দাখিল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা উপলক্ষে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ৫৩ বছর বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মনীষা
- ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত
- `নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে`
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’