আস্থা আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনায়
প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২০
ড. মিল্টন বিশ্বাস
দুই বছর আগে ভারতের ভেলোরে অবস্থিত খ্রিষ্টান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (সিএমসি, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক রোগী চিকিত্সার জন্য কেন গিয়ে থাকে, তার কারণ অনুসন্ধান ও নিজের কৌতূহল মেটানো ছিল মূল উদ্দেশ্য। সকালে যখন হাসপাতালে পৌঁছালাম, তখন বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড়। বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যাই বেশি। এরপর আবিষ্কার করলাম বাংলাদেশি টাকাও ভেলোরে বেশ পরিচিত। কেবল বাংলাদেশ নয়, মানুষ গেছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং থেকে, কলকাতা থেকে তো আছেই। কেউ কেউ দুই-তিন দিনের ট্রেন জার্নি শেষ করে হাসপাতালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কেউ এসেছেন দীর্ঘ সময় নিয়ে, অপারেশনের রোগী সঙ্গে করে। এজন্য হাসপাতালের পাশে ছোট রুম ভাড়া করে নিজেরা রান্নার জোগাড় করে নিজেদের বসতি গেড়েছেন। জিজ্ঞাসা করছিলাম, কলকাতায় ভালো হাসপাতাল ফেলে কেন পশ্চিমবঙ্গের লোক সেখানে যায়? উত্তর পাওয়ার পরিবর্তে রোগীদের তাকানো দেখে মনে হলো সিএমসির প্রতি তাদের আস্থা এত দৃঢ় যে সেই প্রশ্ন করাই যেন আমার ভুল হয়েছে।
প্রতি সকালে কয়েক’শ লোকের ব্লাড কালেকশন করা হয়। ডাক্তার নির্দিষ্ট করা থাকলে সেই রিপোর্ট চলে যায় বিশেষজ্ঞের কাছে। রক্ত থেকে শুরু করে প্রতিটি পরীক্ষার কাজ নিয়ে কোনো রোগীর অভিযোগ শুনলাম না। ভিড় সামলাতে গিয়ে কারো সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খারাপ আচরণ করেছে এরকমটিও শুনতে পেলাম না। বুঝলাম, সিএমসির চিকিত্সাব্যবস্থায় আস্থার জায়গাটি অনেক শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। জানলাম, ১৪৩টি বিভাগের মধ্যে কেবল ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি নামে একটি বিভাগে বছরে ৫০ হাজার রোগীকে সেবা দিতে হয়। এছাড়া সিএমসির সামাজিক কর্মকাণ্ডও রয়েছে। একটি অখ্যাত গ্রামে গড়ে ওঠা হাসপাতাল যদি সেবা দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে, তাহলে একুশ শতকের আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে সেই সেবা কেন মুনাফার লোভে ধ্বংস হওয়ার পর্যায়ে যাবে? আর আমাদের দেশে মানুষ কেন হাসপাতালগুলোর ওপর ভরসাহীনতায় ভাগ্যের কাছে নিজেকে সমর্পণ করবে? তবে আস্থাহীনতার কারণগুলো স্পষ্ট।
৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর চিকিত্সক ও চিকিত্সাব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ংকর সব সংকট পেরোতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্দেশ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। মহামারির দুর্যোগে জনগণের কাছে তিনিই একমাত্র আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।
প্রকৃতপক্ষে কয়েকটি হাসপাতাল ও চিকিত্সা প্রতিষ্ঠানের করোনা চিকিত্সায় প্রতারণা গত কয়েক বছরে আফ্রিকার কোনো দরিদ্র দেশে ঘটেনি; যেখানে এদেশে চিকিত্সাসেবার নামে মুনাফা লোটার ব্যবসায়ী অপতত্পরতা নির্মম। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতি অন্বেষণে গোয়েন্দা অনুসন্ধান, বিশেষত রিজেন্ট হাসপাতাল, ডা. সাবরিনার হেলথ কেয়ার (জেকেজি), সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সব অভিযোগ মানুষকে ভরসাহীন করে তুলেছে চিকিত্সাব্যবস্থার ওপর। এরা করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেয়েও সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি। সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অনুমতি ছাড়াই করোনা অ্যান্টিবডি টেস্ট করছিল। অন্যদিকে বিদেশে গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের করোনার নেগেটিভ সনদ জালিয়াতি করার কারণে কয়েকটি দেশে আমাদের বিমান ও যাত্রী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
চিকিত্সাব্যবস্থার ওপর মানুষের ভরসা করতে না পারার বাস্তবতা এখন দিবালোকের মতো সত্য। দেশের স্বাস্থ্য খাতে গত ১০ বছরে দুর্নীতি কীভাবে ক্ষতবিক্ষত করেছে, তার অনুপুঙ্খ বিবরণ এসেছে বেশ কিছু পত্রিকায়। সরকারি হাসপাতালের টেন্ডার দিয়ে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা এবং অতিরিক্ত বিল প্রদান থেকে শুরু করে সরকারি টাকার অপচয় করা যেমন সত্য, তেমনি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের গলাকাটা চিকিত্সা বিলের অযৌক্তিক পীড়া আমাদের জনগোষ্ঠীকে ঠেলে দিয়েছে বিদেশের হাসপাতাল ও ডাক্তারদের দিকে। তবু মানুষ চেয়ে আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। কারণ করোনা মোকাবিলায় তিনি দেশ-বিদেশের মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
২০২০ সালের প্রথম থেকে সারা পৃথিবী যখন মহামারি করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে ক্লান্ত, তখন আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিন তুলে ধরেছে শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বের বিষয়টি। ম্যাগাজিনের ২২ এপ্রিল সংখ্যায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তিনি মিডিয়ায় প্রশংসা পাওয়ার জন্য নয়, বরং তার কাজ জনগণের মঙ্গলের জন্য, নিঃস্বার্থ কাজ করেছেন। আর এজন্যই টাইম ম্যাগাজিনে ২০১১ সালের আগস্ট সংখ্যায় জানানো হয়, শীর্ষে থাকা ১২ নারী নেতৃত্বের মধ্যে সপ্তম শেখ হাসিনা।
২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমাদের জীবন থেকে ২৮ বছর হারিয়ে গেছে। আর যেন একটা দিনও হারাতে না পারে।’ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এ কথা বলেছিলেন। এ ছাড়া যারা আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে চলে, তারা ক্ষমতায় এলে দেশের জনগণের কল্যাণ হবে না বলে তিনি মনে করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় সেই জনকল্যাণমুখী প্রত্যয় অক্ষুণ্ন রয়েছে।
শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন ও সংগ্রাম, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাহসী যোদ্ধা, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার প্রবক্তা এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে তাকে বিশেষভাবে শান্তি পুরস্কার ও সম্মানীয় ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। যে কোনো সংকটের মুহূর্তে কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
প্রতিকূল পরিবেশ, বিরোধীদের শত বাধা এবং সুশীল সমাজ কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চিন্তাচেতনা সম্পূর্ণরূপে তার বিপক্ষে থাকার পরও তিনি এগিয়ে গেছেন। ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাদের ভালোবাসার প্রতিদান আমাকে দিতেই হবে। জনগণের জন্য একটা সুন্দর, উন্নত জীবন উপহার দেব—এই আমার প্রতিজ্ঞা।’
এভাবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে জনগণের পক্ষে কাজ করার যে অঙ্গীকার প্রকাশ করেছিলেন, তার সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৃতিত্বে আজ আমরা আনন্দিত। স্বাস্থ্য খাতের সব অনিয়ম দূর করে ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব অপশক্তির পরাজয় ঘটাবেন—এই বিশ্বাস আমাদের সবার।
লেখক : অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- আলুতেই গায়েব ব্ল্যাকহেডস
- ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরো একজনের মৃত্যু
- বন্যায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৪৮ মেট্রিক টন চাল বিতরণ
- করোনা: দেশে একদিনে ৩৩ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৬৫৪
- মুক্তি পেলো বঙ্গবন্ধুর উক্তি নিয়ে চলচ্চিত্র ‘চল যাই’
- মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ হতে পারে রোল মডেল- মিলার
- ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ভোলায় আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন’
- শেখ কামাল ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ- কাদের
- করোনা: অনলাইনে পড়তে শিক্ষার্থীদের `ডাটা চার্জ` দেবে সরকার
- ঘরে থেকেই অনলাইন-টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে কথা বলে বিএনপি
- কাটা রসুনে গরুর ঝুরি ভাজা
- দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান
- অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু
- ‘বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন’
- সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে সার্কাস শুরু হয়েছে- ইমরান হাসমি
- বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বর্ষাবাস
- লেবাননে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ৭৮
- আজ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী
- ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন জনগণের পাশে থাকতে’
- রংপুরের সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল করোনায় আক্রান্ত
- রমেকে আরও ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত
- ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতার-৩
- প্রধানমন্ত্রী সিনহার মাকে ফোন করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলেন
- লালমনিরহাটে নদীতে গোসল করতে নেমে নবদম্পতির সলিল সমাধি
- চল্লিশ বছর বয়সের পরে কি খাবেন, কি খাবেন না
- ‘করোনা ও বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজের গতি বাড়াতে হবে’
- প্রেস ব্রিফিংয়েই আটকে আছে বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
- বন্যাকবলিত উত্তরাঞ্চলের কৃষি শ্রমিকদের জন্য ‘বন্যা বিমা’ চালু
- পদোন্নতির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকরাই হবেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক
- দূতাবাসে হাসিমুখে সেবা দিন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শোষিত মানুষের মুক্তির পথ মুজিববাদ
- মহামারিতেও সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসছে যে ১০ দেশ থেকে
- উওরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে ভাঙনের ভয়
- ঈদ উপলক্ষে ৭ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
- পীরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
- এক কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- সাড়ে ১২ কোটির বেশি মানুষ পাবে ১৯ প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা
- অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে তিস্তার পানি
- সরকারি উদ্যোগে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট: নিবন্ধন শুরু
- অপরাধী যত ক্ষমতাশালী হোক, শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তেই হবে- কাদের
- রাষ্ট্রনায়ক ও বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু
- পঞ্চগড়ে দরিদ্র শিক্ষর্থীদের সাইকেল ও আর্থিক অনুদান প্রদান
- বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন উপহার দিল ভারত
- ঈদের আগেই ৩০ লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তা
- করোনা: হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো নীলফামারীর পৌর মেয়রকে
- বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশকে বহুমুখী প্রস্তাব ভারতের
- পঞ্চগড়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
- কোরিয়া থেকে কেনা হচ্ছে ১৫০টি মিটারগেজ কোচ
- করোনার বিস্তার রোধে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি

