পঞ্চগড়ে করোনায় স্বজনহারাদের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন পঞ্চগড়ের ৪১ জন। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে এখনো চলছে শোকের আবহ। কেউ কেউ পরিবারের একমাত্র স্বজন হারিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। করোনা কেবল এক একটি প্রাণ কেড়ে নেয়নি। কোনো কোনো পরিবারকে করে দিয়েছে নিঃস্ব। এরই মধ্যে চলে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। স্বজনহারা পরিবারগুলোর মাঝে নেই এবার কোনো ঈদ আনন্দ। ঈদ উপলক্ষে স্বজনহারা এসব পরিবারের খোঁজ নিতে মঙ্গলবার তাদের বাড়িতে ছুটে যান পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম। 

এ সময় তিনি করোনায় স্বজন হারা পরিবারের খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী। উপহার সামগ্রী হিসেবে প্রতিটি প্যাকেটে দেওয়া হয় সেমাই, চাল, চিনি, সয়াবিন তেল, সাবান, গুঁড়া দুধ ও আপেলসহ খাদ্য সামগ্রী। বাড়িতে গিয়ে জেলা প্রশাসক খোঁজখবর নেয়ায় স্বজনহারা পরিবারগুলো খুঁজে পায় সান্ত্বনা। 

এ সময় অন্যদের মধ্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নভেন্দু নারায়ণ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঞ্চগড় ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা ১৮ জনের বাড়িতে ঈদ উপলক্ষে মাংসসহ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।

পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আব্দুস সামাদের স্ত্রী নুর জাহান বেগম বলেন, আমার স্বামী গত বছরের ১৩ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। করোনা আমাদের অনেক বড় ক্ষতি করেছে। আমরা এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক নিজে আমাদের বাড়িতে এসে খোঁজখবর নিচ্ছেন এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। আমরা এতটুকুতেই খুশি। সেইসঙ্গে তিনি আমাদের জন্য ঈদ উপহারও নিয়ে এসেছেন। জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই। 

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, করোনায় যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের ক্ষতি অপূরণীয়। আমরা কেবল তাদের সান্ত্বনা দিতে এবং খোঁজখবর নেয়ার জন্যই তাদের বাড়িতে গিয়েছি। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার তুলে দিয়েছি। আমরা সবাইকে এতটুকু নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা সবসময় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে রয়েছি।