উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে রেকর্ড
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৪
এ বছরও রেকর্ড হারে চা উৎপাদন হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। চলতি মৌসুমে জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে ১৭ শতাংশ চা। সিলেট ও পার্বত্যাঞ্চল অঞ্চলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চল। ২০২৩ সালে রেকর্ড ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৪০ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়েছে। গত বছর চা উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছিল ৩২ লাখ কেজি বেশি। যা গত মৌসুমের চেয়ে ১ কোটি ৬৫ লাখ কেজি বেশি।
আঞ্চলিক চা কার্যালয় জানায়, উত্তরবঙের পাঁচটি জেলায় নিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে ৯টি। ২০টি অনিবন্ধিত, ৮৩৭১টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান (নিবন্ধিত ২১৬৪টি)। চা কারখানা রয়েছে ২৮টি। তার মধ্যে পঞ্চগড়ে ২৭টি ও ঠাকুরগাঁওয়ে একটি। ২০২৩ সালে উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় ১২ হাজার ১৩২.১৮ একর জমিতে চা চাষ হয়েছে। এসব জমিতে চা বাগানগুলোতে ৮ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৪ কেজি সবুজ চা পাতা উত্তোলন করা হয়েছে। যা থেকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও এর ২৮টি চা কারখানায় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৩০ কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে ৫৩.১২ একর চা আবাদী বৃদ্ধি পেয়েছে ও ১ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা বেশি উৎপন্ন হয়েছে। জাতীয় চা উৎপাদনে ১৭.৪৪ শতাংশ অবদানে অঞ্চলভিত্তিক চা উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এ অঞ্চল।
উত্তরাঞ্চলের শুধু পঞ্চগড়ের নিবন্ধিত ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান রয়েছে ১ হাজার ৬৫, বড় চা বাগান রয়েছে ৮টি। অনিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে ৫ হাজার ৮৫৫ ও বড় চাবাগান রয়েছে ২০টি। জেলায় মোট নিবন্ধিত চা বাগান ১৪৭৩ ও অনিবন্ধিত চাবাগান রয়েছে ৫৮৭৫ টি। ১০ হাজার ২৬৭.২৮ একর জমিতে আবাদকৃত বাগানে সবুজ চা পাতা (কেজি) উৎপাদিত হয়েছে ৭ কোটি ৩৮ লাখ ২৭৭ কেজি। আর উৎপাদিত তৈরি চা (কেজি) হয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭ কেজি।
১৯৯৬ সালে পঞ্চগড়ে প্রথম চা চাষের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয় ২০০০ সালে। এক সময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি এখন সবুজ চা বাগান। সমতল ভূমিতে চা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করে উত্তরাঞ্চলের জেলা ৫টি জেলা। পঞ্চগড়ের পর ২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাট এবং ২০১৪ সালে দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলায় চা চাষ শুরু হয়। পঞ্চগড়ের চা শিল্পকে অনুসরণ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে চা উৎপাদনে সমৃদ্ধ করেছে রংপুরের পাঁচ জেলা। দুই দশকের বেশি সময় ধরে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দেশের চা উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে পরিচিতি পেয়েছে। চা শিল্প ঘিরে এ অঞ্চলে ৩৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
চা শিল্পে সবুজ পাতায় সবুজ অর্থনীতিতে বদলে গেছে উত্তরাঞ্চল। এ শিল্পের কারণে দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। চা বোর্ড চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল ও গুণগতমান সম্পন্ন বিটি সিরিজের চা চারা উৎপাদনের কাজ অব্যাহত রয়েছে। চাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিতে ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে কর্মশালা, সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ মোবাইল অ্যাপস চালু, আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপনসহ চা বাজারজাতকরণে গত বছর দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
অপরদিকে উত্তরাঞ্চলে সম্ভাবনাময় চা শিল্পকে বাঁচাতে ১০০ কোটি টাকার প্রণোদনার সুপারিশ করা হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘‘উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের চায়ের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ করণীয় ও চা আইন-২০১৬ অবহিতকরণ’’ বিষয়ক কর্মশালায় এ সুপারিশ করা হয়। এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম, স্মল টি গার্ডেনওনার্স অ্যান্ডটি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আমিরুল হক খোকন, কারখানা মলিকদের পক্ষে নিয়াজ আলী চিশতি, মনসুর আলী, মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন প্রধান, চা বাগান মালিক রফিকুল ইসলাম।
প্রণোদনার সুপারিশে ৫০ কোটি ক্ষুদ্র চা চাষিদের প্রত্যেক কেজির জন্য পাঁচ টাকা করে, এক কোটি করে জ্বালানিসহ বিদ্যুতের জন্য ২৮ টি কারখানাকে ২৮ কোটি, চা নার্সারী উৎপাদিত প্রত্যেক চারার জন্য পাঁচ টাকা হিসেবে নার্সারি মালিকদের ১০ কোটি এবং প্রশিক্ষণ, তদারকি ও মনিটরিংয়ের জন্য ১২ কোটি টাকা চা বোর্ডেকে প্রদানের সুপারিশ করা হয়। প্রণোদনার পাশাপাশি নিলাম মার্কেটে সর্বনিম্ন প্রতি কেজি তৈরি চা পাতার মূল্য ১৭০ টাকা নিধারর্ণ, কালোবাজারে অবৈধভাবে চা বিক্রি বন্ধ, কাঁচা চা পাতার মূল্য বৃদ্ধি, নানা অজুহাতে কাঁচা চা পাতার কর্তন বন্ধ, বিনামূল্যে প্রুনিং, প্লাকিং মেশিন প্রদান করার সুপারিশও করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, গুনগতমান সম্পন্ন চাউৎপাদনের বিকল্প নেই। অবৈধভাবে চা বিক্রি বন্ধ, সবাইকে চা আইন মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ মান অনুযায়ী নিলাম মার্কেটে তৈরি চা পাতার মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। গত বছর দেশে ১০৩ কোটি মিলিয়ন চা উৎপন্ন হয়েছে।
যা অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় প্রায় ১৫ কোটি মিলিয়ন চা বেশি উৎপন্ন হয়েছে। বিদেশে চা রপ্তানি বাড়াতে পারলে চা শিল্পের বিরাজমান সংকট কেটে যাবে। প্রণোদনার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে উল্লেখ করে চা চাষীদেও প্রশিক্ষণ অব্যাহত আছে, প্রুনিং, প্লাকিং মেশিন দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো দেওয়া হবে। চায়ের ক্রান্তিকালে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। উৎপাদ করা দাম পাচ্ছেনা। সবাই যেন যৌক্তিকভাবে আনুপাতিক হাওে সুবিধা পায় সে লক্ষ্যেই চা বোর্ড কাজ করছে।
তিনি উত্তরাঞ্চলে চায়ের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য গুণগতমান সম্পন্ন চা উৎপাদন, চা আইন-২০১৬ যথাযথভাবে অনুসরণ করে চা উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ও বিপণনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কেউ আইন চা আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- `জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি` ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
- তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে’
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- পরচুলা তৈরি করে লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছে তারা
- শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস