স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশের পথচলা
প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২১
ড. মো. আকরাম হোসেন
মার্চ বাংলাদেশের জন্মের মাস। পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পর থেকেই অত্যাচারে, লাঞ্ছনায়, বঞ্চনায় পীড়িত বাঙালির বহু আরাধ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্তির মাস এই রক্তঝরা মার্চ। কোটি বাঙালির প্রাণের স্পন্দনকে হৃদয়ে ধারণ করে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসকদের সকল হুমকিকে এক মহামানবের তর্জনীর ইশারায় ধূলিসাৎ করে দেওয়ার মাস এই মার্চ।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসার কথা ছিল। কিন্তু ১ মার্চ অধিবেশন স্থগিত করার ঘোষণা দেন ইয়াহিয়া খান। এর সঙ্গে সঙ্গে মূলত বাংলায় পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটে। ১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক পত্রিকার বিবৃতিতে, সকল বক্তৃতায় পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে 'বাংলাদেশ' নামটিই ব্যবহূত হয়। ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বাংলার অবিসংবাদিত মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কূটনৈতিক প্রজ্ঞার এক অসাধারণ প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৌশলে স্বাধীনতার সংগ্রামের ডাক দেন। তেজোদ্দীপ্ত সেই ভাষণ মানুষের শরীরের রক্তে রক্তে অনল প্রবাহিত করে। স্বাধীনতা অর্জনের রক্তক্ষয়ী কিন্তু ভীষণ গৌরবময় যাত্রার সেই শুরু। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃৃক গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওয়্যারলেসের মাধ্যমে জারি করা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাকে ২৬ মার্চ ১৯৭১ চট্টগ্রাম বেতার থেকে প্রথম প্রচার করেন এম এ হান্নান। সেই হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বয়স ঠিক ৫০ বছর।
১৯৭১ সালে জন্ম নেওয়া দরিদ্র বাংলাদেশ১৯৭৫ সালেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে দেশটি নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া তিনটি শর্ত (জিএনআই, এইচএআই ও ইভিআই) পূরণে তিন দফায় ব্যর্থ হলেও ২০১৮ সালে চূড়ান্তভাবে সফলতা অর্জন করে। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের মধ্য থেকে যে কোনো দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জাতিসংঘের তিনটি শর্তই পূরণ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ১২-১৬ মার্চ, ২০১৮ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসোক) অধীন উন্নয়ন কমিটির (সিডিপি) ২০তম ত্রিবার্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সকল মানদণ্ড পূরণের স্বীকৃতি পায়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হিসবে এককালে যে দেশের অর্থনীতির চিত্র ছিল করুণ, সে দেশ আজ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। মাত্র কয়েক কোটি টাকা বাজেট নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের বাজেট আজ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এককালের ছোট বাজেটের দেশ আজ এশিয়ার 'টাইগার ইকোনমি'তে পরিণত হয়েছে। এই বড় অর্জনটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে এক উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে যেভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে যাচ্ছে, তা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীদের মনে ভীতির সঞ্চার করেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার আট লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা, শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বক্তব্য অনুযায়ী, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো সাফল্য আছে বাংলাদেশের। বিশেষত, শিক্ষা সুবিধা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার ও জন্মহার কমানো, গরিব মানুষের জন্য শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান এবং শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম অন্যতম।
হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন-এইচএসবিসির সর্বশেষ গ্লোবাল রিসার্চে বলা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) নিরিখে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ৪২তম। 'দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০ : আওয়ার লং টার্ম প্রজেকশনস ফর ৭৫ কান্ট্রিজ' শিরোনামের এই রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৬ ধাপে উন্নীত হবে, যা অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় অধিক। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই তালিকায় বাংলাদেশের পরেই ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার নাম এসেছে।
প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে উন্নত দেশ নরওয়েকে পেছনে ফেলবে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতির আকারের পাশাপাশি বিস্তৃত হয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য। পণ্য রপ্তানি আয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতার গুণে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি খাতে আয় হয়েছে চার হাজার কোটি ডলার; যা এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানি আয়। জিডিপির হিসাবে বিশ্বের ৪৪তম অর্থনীতির এই বাংলাদেশ ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বিশ্বে ৩৩তম এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি অনুযায়ী বিশ্বে দ্বিতীয়। আবার মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অকল্পনীয়। দুই দশক আগে অর্থাৎ ১৯৯০ সালের সূচক এবং ২০১৯ সালের মানব উন্নয়ন সূচকের ব্যবধান ৬০ দশমিক ৪ ভাগ। গত দুই দশকে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪ বছর, গড় শিক্ষাজীবন বেড়েছে ৩.৪ বছর এবং প্রত্যাশিত শিক্ষাকাল বেড়েছে ৬ বছর।
জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্ব্বপ্ন ছুঁতে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকেই আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে অপ্রতিরোধ্য এই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামানো বেশ মুশকিল হয়ে যাবে 'বাংলাদেশ' শব্দটির বিরোধিতাকারীদের জন্য। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এ রকম সাফল্য দেখে সত্যিই বিমোহিত। আমরা বিরোধীদের মুখে চুনকালি দিয়ে সামনে এগিয়ে যাব, এই প্রত্যয় ধ্বনিত হোক সব বাঙালির অন্তরে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে আমাদের সামগ্রিক সাফল্য ও অবিস্মরণীয় অগ্রযাত্রা এ দেশের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এসব সাফল্যের হাত ধরেই গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্ব্বপ্নের সোনার বাংলা।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- হাফিজুল এখন পরিবারের বোঝা
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- `জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি` ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
- তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- পরচুলা তৈরি করে লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছে তারা