অন্ধকার কি? কিভাবে এর সৃষ্টি?
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮
এই অবাক পৃথিবীর কত কিছুই না রয়ে গেছে আমাদের অজানা। এর মাঝে অনেক রহস্যময় জিনিস আমরা জানতে পেরেছি এবং অনেক কিছুই আমাদের জানা হয়নি এখনও। আজ আমরা তেমনই এক অজানা তথ্য জানতে চেস্টা করবো। ডেইলি বাংলাদেশের আজকের এ আয়োজনে থাকছে অন্ধকার আসলে কি এবং কিভাবে এর সৃষ্টি?
আমাদের পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই অন্ধকারকে ভয় পায় আর অন্ধকারকে ভয় পাওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় লিক্টফবিয়া বলা হয়ে থাকে। অন্ধকার এমন একটি জিনিস যেটা আমাদের সম্পূর্ণ ইউনিভার্সে ছড়িয়ে আছে। আমাদের ইউনিভার্সে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ অন্ধকার। অন্ধকার তখনই গায়েব হয়ে যায় আলো চলে আসে। আবার যখন আলো চলে যায় তখন ওই স্থানে অন্ধকার চলে আসে। এরপরও আমাদের মধ্যে অনেক জিজ্ঞাসু লোক আছে যাদের মনে প্রশ্নের উদয় হয় যে, অন্ধকারের গতি কত? আমাদের এই সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ডে এমন কিছু নেই যেটা আলোর গতিবেগ অতিক্রম করতে পারে। অর্থাৎ তিন লাখ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড। তাহলে এখান প্রশ্ন আসাটা সাভাবিক অন্ধকারের গতি কত হতে পারে?
অন্ধকারের ভৌতিক রূপে কোনো অস্তিত্ব নেই। অন্ধকার মানেই হচ্ছে আলো না হওয়া। অর্থাৎ আলোর অভাব। যখন আপনি আলোকে কোনোভাবে আড়াল করবেন তখন আপনি অন্ধকার পাবেন। যেটাকে আমরা ছায়া বলে থাকি। যদি আমরা গতির হিসেবে কথা বলি তাহলে অন্ধকার ওইটাই যেটা আলো আসা বন্ধ হয়ে গেলে পাওয়া যায়। যদি আমাদের সূর্য হঠাৎ করে আলো প্রদান করা বন্ধ করে দেয় তাহলে পৃথিবীতে আলো আসা বন্ধ হয়ে যাবে আর পৃথিবীতে অন্ধকার ছেয়ে যাবে। কিন্তু পৃথিবীতে সূর্যের আলো আসতে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড সময় লাগে। এর মানে সূর্যের আলোর ছোট থেকে ছোট অংশকে গায়েব হয়ে যাওয়ার জন্য আট মিনিট উনিশ সেকেন্ড সময় লাগবে। এরপর আলোর ছোট থেকে ছোট অংশ যাওয়ার পরে অন্ধকারকে পৃথিবীতে আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড লাগবে। এর মানে আমরা পৃথিবীতে সূর্যকে আট মিনিট উনিশ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখতে পারবো না।
অধিকাংশ বিজ্ঞানি এবং ভৌতিক শাস্ত্রী মনে করেন অন্ধকারের কোন গতি নেই সেটা না নড়াচড়া করতে পারে, না স্থানান্তর হতে পারে। যদি আমরা অন্ধকারকে আলোর অভাব ভাবি আর আলো নিয়ে অন্ধকারের পেছনে ছুটি তাহলে অন্ধকার ততটা গতিতে গায়েব হয়ে যাবে ঠিক যতটা গতিতে আলো আসবে। কিন্তু এর মানে এটাই দাঁড়ালো যে অন্ধকারও আলোর গতিতে ভ্রমন করতে পারে।
অন্ধকারকে আলোর ছোট থেকে ছোট অংশ গায়েব হয়ে যাওয়ার পরেই দেখতে পারবেন। আমাদের ব্রহ্মাণ্ডে বেশ কিছু জায়গায় বা কিছু বস্তু বা পিন্ড আছে যার থেকে বের হওয়া আলো ওই অন্ধকারের স্থানকে নিয়ে নিয়েছে। ঐ বস্তু থেকে বের হওয়া ফটন আলোর উৎপন্ন করে আর অন্ধকারকে সরিয়ে ওই স্থানকে আলোকিত করে দেয়।
প্রশ্ন হল অন্ধকার বলে কি আসলেই কিছু আছে? আমাদের ইউনিভার্সে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই নাকি অন্ধকার তাহলে আমি এরকম কেন প্রশ্ন করছি অন্ধকার বলে কিছু আছে কি নেই?
এই প্রশ্নটার উত্তর শুধু জানার জন্য নয় বোঝার জন্য আপনাকে এই সম্পূর্ণ লিখাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। অন্ধকার যেটা আলোর বিপরীত। আমাদের পুরো ইউনিভার্সের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ স্থান অন্ধকার হলেই এই অন্ধকারকে বোঝার জন্য আমাদের এই ইউনিভার্সের মাত্র ৫ থেকে ১০ ভাগ আলোর সাহায্য নিতেই হবে। এই পাঁচ থেকে দশ ভাগ আলো আর ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ অন্ধকার যেটাই বলি না কেন এগুলো দেখার জন্য যেটার প্রয়োজনটা হল আমাদের চোখ।
যখন কোন বস্তুর ওপর থেকে আলোর কোনো কণা প্রতিফলিত হয়ে আসে আমাদের চোখে আঘাত করে তখনই আমরা সেটাকে দেখতে পাই। আমাদের চোখে যে আলো এসে পড়ে সেতা ইউনিভার্সে থাকা বিশাল একটি ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের ক্ষুদ্রতম অংশ।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন এর মধ্যে অনেক রকমের আলো আছে। এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন খুব মারাত্মক এবং খুব ভালোও হতে পারে। আমরা জানি আলো একটি নির্দিষ্ট গতিতে চলাফেরা করে। আর এই গতির কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ প্যাটার্ন আছে। প্রধান সমস্যা তো এটাতেই, কারণ আমরা সব কিছু দেখতে পাই না। যদি এর থেকেও বেশি করে বলি তবে, বিজ্ঞান বলে আমাদের চোখে এই ইউনিভার্সের বিশাল রেডিয়েশনের একটি ক্ষুদ্র অংশকেই দেখতে পারে। অর্থাৎ আমাদের দেখার সীমাবদ্ধতা খুবই ছোট।
এটাকে বোঝার জন্য কিছু উদাহরণ নেয়া যেতে পারে। যেমন, মনে করুন আমরা একটি পাখিকে যেভাবে অনেক রঙের সমন্বয়ে রঙ্গিন দেখি, একটি বিড়াল কিন্তু এইভাবে দেখেনা। কারণ ওই বিড়ালের ওই ধরনের কোষ নেই যেগুলো আমাদের আছে। এর মানে আমরা মানুষ এই পৃথিবীতে যে বিভিন্ন ধরনের রঙ দেখে থাকি তা শুধু আমাদের নিজেদের চোখ এবং মস্তিষ্কের তৈরি করা। সেটা আমাদের পৃথিবীর অন্য সব প্রাণীদের থেকে আলাদা। কিন্তু আমরা যে জিনিসটা পারি না বিড়াল কিন্তু সেটা খুব সহজেই পারে আর সেটা হল অন্ধকারেও দেখতে পারে।
এর মানে বিড়ালের ভিতরে অন্ধকারে দেখতে পাওয়ার কোষ আছে যা আমাদের মধ্যে নেই। আমরা যখন কোন কিছুকে দেখার কথা বলি তখন সেটা হচ্ছে আমাদের চোখের ভার্চুয়াল ধারনা। মনে করুন সূর্যের আলো যখন কার ওপরে পড়ে সে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখের মধ্যে প্রতিবিম্বিত হয়। সেই প্রতিবিম্বগুলোকে আমাদের চোখ আমাদের মস্তিষ্কে থাকা নিউরন কোষকে ট্র্যান্সফার করে তারপর মস্তিষ্ক আমাদের বলে দেয় আমরা কি দেখছি।
এই আলোর আরো কিছু বিষয় আছে, আলো বিভিন্ন ওয়াভে চলাফেরা করে। একটি নির্দিষ্ট গতির আলোকেই আমরা শুধু দেখতে পারি। বাকিগুলোকে আমরা মোটেও দেখতে পাই না। যেমন এক্স রে, আল্ট্রাভাইওলেট রস্মি, গামা-রে এ রকম অনেক রকমের আলোকরশ্মি আছে যা আমাদের এই সাধারণ চোখ দেখতে পারে না। যেমন, আমরা মানুষের শরীরের ভেতরে থাকা হাড়কে খালি চোখে দেখতে পাই না কিন্তু যদি আমাদের চোখ এক্সরে সংবেদনশীল হতো তাহলে আমরা ঠিকই দেখতে পারতাম।
আমাদের মধ্যে একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে এই পৃথিবীতে আমরা যা দেখি তার বাইরে আর কিছুই নেই। কিন্তু বিজ্ঞানিকভাবে আমাদের এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। এখন যদি কোনো প্রাণী বা বস্তুকে শুধুমাত্র এক্স রে ওয়াভের মাধ্যমে দেখা যায় তাহলে সেটা আমাদের এই সাধারন চোখ ধরতে পারবে না। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে সেই বস্তু বা প্রাণীটি নেই। এই ক্ষেত্রে আপনি যদি বলেন ভূত আত্মা বা জিনের কথা, যে এদেরও তো খালি চোখে দেখা যায় না। তাহলে বলা যেতে পারে, হয়তো বা তবে নিশ্চিত হবে ধরা যেতে পারে এই মহাবিশ্বে এই রকম অনেক কিছুই আছে যেগুলো আমাদের এই সাধারন চোখ দেখতে পায় না।
বিজ্ঞানিরা এই বিষয়টি নিয়ে প্রচুর পরিমাণে গবেষণা করছেন যেন আমাদের দৃষ্টিসীমার আরো বিস্তার হতে পারে। তাহলে বন্ধুরা আমরা বুঝতেই পারছি এই সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ডে অনেক কিছুই আছে যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। বিড়াল আলো এবং অন্ধকারে দেখতে পারে কিন্তু আমরা পারি না। এটা হচ্ছে আমাদের সীমাবদ্ধতা কিন্তু বিড়ালের কাছে এই সীমাবদ্ধতা নেই। এর জন্য তারা দিন এবং রাত উভয় সময় দেখতে পারে এবং তাদের কোনো প্রকার সমস্যাও হয় না। যে সমস্যাটি আমাদের আছে।
যদি আমরা রাতের বেলায় কোনো সমস্যা ছাড়া দেখতে পারতাম তাহলে আমরা কি বলতাম অন্ধকার কে? হয়তো আমরা এটাই বলতাম যে, দিনের বেলাই আমরা বেশি দেখতে পারি আর রাতে একটু কম। আর যদি আমাদের চখে রাতের বেলায় দেখতে পাওয়ার কোষ অনেক বেশি হত তাহলে হয়তো আমরা দিনের বেলাতেই কম দেখতে পারতাম আর রাতের বেলাতেই বেশি। এর মানে আমরা আজকের আলোচনা থেকে এটাই বুঝতে পারলাম যে, আমাদের এই সাইন্টিফিক সীমাবদ্ধতার কারণেই রাতের সৃষ্টি হয়েছে যেটাকে আমরা অন্ধকার বলে থাকি।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- হাফিজুল এখন পরিবারের বোঝা
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- `জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি` ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
- তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- পরচুলা তৈরি করে লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছে তারা