• শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

  • || ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরষ্কার পাচ্ছেন করভি রাকসান্দ                

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২৩  

 
এশিয়ার নোবেল পুরস্কার নাম পরিচিত র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরষ্কারে  ভূষিত হয়েছেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক করভি রাকসান্দ। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯টায় র‍্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে তার নাম ঘোষণা করা হয়।

ইমার্জেন্ট লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে এই পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এশিয়ায় দারিদ্র্য বিমোচন ও সমাজ উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতিবছর র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার দেওয়া হয়।

২০২৩ র‍্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ডের জন্য করভি রাকসান্দকে নির্বাচিত করেছে ট্রাস্টি বোর্ড। সুবিধা-বঞ্চিতদের জন্য আদর্শ সেবা বা সমাজকল্যাণে অবদানের জন্য এ বছর বাংলাদেশ থেকে এ সম্মাননা পেয়েছেন করভি রাকসান্দ। এছাড়াও অদম্য চেতনা, দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে র‍্যামন ম্যাগসেস কর্তৃপক্ষ।

করভি রাকসান্দ বলেছেন, এই পুরষ্কার বা এই সম্মাননা শুধু আমার একার না। এ দীর্ঘ পথচলায় যারা আমার সঙ্গে ছিল সকলেই এটার দাবিদার। আমরা আবার প্রমাণ করলাম তরুণরা কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়েই তেকে থাকে না তারা বাস্তবায়ন করেও দেখাতে পারে। 

সমাজ উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য করভি রাকসান্দ আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। এইচআরএইচ প্রিন্স অফ ওয়েলস থেকে আন্তর্জাতিক বিভাগে মোজাইক ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ২০১০ সালে প্রিন্স চার্লস, ২০১৩ সালে কমনওয়েলথ যুব পুরস্কার, ২০১৭ সালে সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক অ্যান্ড্রু ই. রাইস অনারেবল মেনশন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন, ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যে কমনওয়েলথ পয়েন্ট অফ লাইট পুরস্কার, সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পান ২০২২ সালে।

২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু“করে জাগো ফাউন্ডেশনের। বয়স যখন মাত্র ২১ বছর। তখন রায়ের বাজার বস্তিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ১৭ শিশুকে নিয়ে শুরু“করেন ক্লাস। আর গড়ে উঠল জাগো ফাউন্ডেশন। দরিদ্র শিশুদের মুখে একটু হাঁসি ফুটানোর জন্য গড়ে তুলেছেন ‘জাগো ফাউন্ডেশন।’ মাত্র সাতজন ভলান্টিয়ার ও ১৭জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু নিয়ে জাগোর পথচলা শুরু। সেই পথ চলার সঙ্গী এখন অনেক। ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে পড়াচ্ছে জাগো ফাউন্ডেশন। শুধু তাই না সবার সহায়তায় শিক্ষার্থীদের ফ্রি শিক্ষা উপকরণও দেওয়া হয়।

এছাড়াও জাগোর প্রচলিত ধারার তিনটি স্কুলও রয়েছে, যেখানে দেশের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর শিশুরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গুণগত মানসম্মত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে সুশিক্ষিত ও দায়িত্বশীল সুনাগরিকে পরিণত হচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের ভেতরে থাকা শিশুদের শিক্ষা পৌঁছে দেয়া সম্ভব- এই ধারণা থেকে শুরু হয় ‘অনলাইন স্কুল’।

ফিলিপিন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট র‍্যামন ম্যাগসেসের নামে এ পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৫৭ সালের ১৭ মার্চ মর্মান্তিক এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান র‍্যামন ম্যাগসেসে। ১৯৫৮ সাল থেকে তার নামে প্রতিষ্ঠিত র‌্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন থেকে এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতিবছর ম্যাগসেসের জন্মদিন ৩১ আগস্ট ম্যানিলা থেকে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর ৬৫তম ম্যাগসেসে পুরস্কার ঘোষণা করা হলো।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –