‘শেখ হাসিনা বাড়ি না দিলে সারা জীবন রাস্তায় থাকা লাগত’
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নিজের কোনো জায়গা-জমি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে রাস্তার ধারে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন জামিনুর রহমান। সামান্য ভাঙারির ব্যবসা করা জামিনুরের ছিল না জমি কিনে বাড়ি করার সামর্থ্য। বছরখানেক আগে ভাগ্য পরিবর্তন হয় তার। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের পুটিমারী শ্মশান বাজার আশ্রয়ণ প্রকল্পে মুজিববর্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের একটি সরকারি ঘর পেয়েছেন তিনি। সেই থেকে স্ত্রী-সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে রাস্তার ধারে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা জামিনুর নিজেই বাড়ির মালিক। প্রকল্পের ঘরসহ দুই শতাংশ জায়গায় নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
জামিনুরের মতো আপন ঠিকানা পেয়েছেন পুটিমারী শ্মশান বাজার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৭টি পরিবার। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর পেয়ে বদলে গেছে প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠীর জীবনমান।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কতৃর্ক নির্মিত ব্যারাকসহ ২০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠাঁই হয়েছে ৬৬২টি পরিবারের। একসময় ছিন্নমূল, ভূমিহীন, গৃহহীন এই মানুষগুলোর দিন কাটতো অনাহারে-অর্ধাহারে। তবে একটি নিরাপদ ঠিকানার চিন্তা দূর হওয়ায় বর্তমানে নিজেদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করছেন তারা। কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ, কেউ সবজি চাষ, কেই ক্ষুদ্র ব্যবসা, আবার খামার করেও স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে।
সরেজমিনে কিশোরগঞ্জের পুটিমারী শ্মশান বাজার আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে, উপহারের ঘরের পাশে সামান্য কিছু জায়গায় চাষ করা হয়েছে শাকসবজি। রোপণ করা হয়েছে কয়েকটি ফুল ও ফলগাছ। এসব গাছের পরিচর্যা করছিলেন জামিনুরের স্ত্রী জহুরা বেগম।
জামিনুর রহমান বলেন, ‘আমি রাস্তায় ১৩ বছর আছিলাম। আমাকে কেউ জায়গা দেয় নাই। জায়গা চেয়ে না পেয়ে রাস্তার ধারে ছিলাম। একটু বাতাস হইলেও আমার বাড়ির চালা উড়ি যায়। পরে ইউএনও স্যার ডাকে নিয়ে একটা বাড়ি দিছে আমাক। এখন এই বাড়িতে আমরা খুব ভালো আছি। শেখ হাসিনা যদি বাড়ি না দিল হয় আমাক সারা জীবন রাস্তায় ধারেই থাকা লাগত। বাড়ি পেয়ে খুব সুখশান্তিতে বসবাস করছি। দোয়া করি শেখ হাসিনার ভালো হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি এই বাড়িটা না পেতাম তাহলে এদিকে আর থাকা হতো না, ঢাকা চলে যাওয়ার লাগত। আমি এত মানুষের হাত-পা ধরছি কেউ জায়গা দেয় নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মতো এমন অসহায় মানুষকে জায়গা দিছে। এরচেয়ে বড় চাওয়া আমার নাই। আমি খুব শান্তিতে আছি। আমি ভাঙারির ব্যবসা করি। রাস্তার ধারে বাড়ি থাকতে আমার বৃদ্ধ মা তিনবার অ্যাক্সিডেন্ট করছে। আমার কাছে তো টাকা নাই মায়ের চিকিৎসা করার, তখন ধারদেনা করে মায়ের চিকিৎসা করেছি। আমি খালি দোয়া করি শেখ হাসিনার জন্য। আল্লাহ তার মঙ্গল করুক। যেখানে আমার মা আমাকে জন্ম দিয়ে জায়গা দিতে পারে নাই কিন্তু শেখ হাসিনা আমাকে জায়গা দিছে।’
জামিনুরের স্ত্রী জহুরা বেগম বলেন, ‘জমি কেনার জন্য একটা গরু বড় করছিনো, সেটাও সাপের কামড়ে মারা গেইছে। সেই গরুটা খুব কষ্টে বড় করছিনো। গরুটা মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট পাইছিনো। এটা ভ্যান গাড়ি ছিল ভাঙারির ব্যবসা করতো আমার স্বামী, সেটাও চুরি হয়ে গেছিলো। ইউএন স্যার তিন দিন বাড়িতে গেছিল, ঘরে ঢুকে দেখে আমাদের কিছু নাই। এক চৌকিতে সবাই থাকি। তারপর স্যার আমাদের একটা ঘর দিল। বর্তমানে আমরা এখন খুব শান্তিতে আছি। শাকসবজি আবাদ করতেছি, গাছপালা লাগাইছি। পুঁইশাকের গাছ লাগাইছি সেই পুঁইশাক তুলে আজকে ভাত রান্না করে খাইছি।’
আশ্রয়ণের বাসিন্দা ছায়া রানি বলেন, ‘আগে মানুষের জমিতে ছিলাম, খুব কষ্টে ছিলাম। এখন সরকার আমাকে পাকা বাড়ি দিছে, আমি খুব সুখে আছি। যে আমাকে ঘরটা দিছে আল্লাহ তার ভালো করুক। আমি পাকাঘরে ঘুমাতে পারতেছি। কখনো স্বপ্ন দেখি নাই যে আমি পাকাঘরে থাকবো। এখন সরকার আমার পাকাঘর দান করছে। আমি পাকাঘরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সুখে শান্তিতে আছি।’
আরেক বাসিন্দা নালো বালা বলেন, ‘মানুষের জমির থাকিয়া কত কথা, কত যে কষ্ট গেছে সেটা ভগবান জানে। এখন ভগবান দয়া করছে। এখন তো ভালো আছি। আগের চেয়ে কত ভালো আছি। ঘরটা ছিল সে ঘরটা চাটি-বেড়া কিছু নাই। বর্ষা শীত সব সময় কষ্ট। একটু বৃষ্টি হইলে মানুষের বাড়িতে দৌড়াতে লাগতো। এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারি।’
আশ্রয়ণের বাসিন্দা হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে যখন ৭ মাস বয়স তখনই আমার স্বামী মারা যায়। তখন থেকে কষ্ট করে ছেলেকে মানুষ করছি। এখন ছেলে তার বউকে নিয়ে আলাদা খায়, আমি আলাদা খাই। মানুষের বাসায় কাজ করে চলতেছি। এই ঘর পেয়ে অনেক ভালো আছি। দিনে মানুষের বাড়িতে কাজ করি আর রাতে এই ঘরে আসি ঘুমাই।’
কিশোরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমি ও গৃহহীন ঘোষণা করেছেন। আমরা ৬৬২ জন গৃহহীনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিসহ ঘর প্রদান করেছি। বর্তমানে তারা খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে বেশ কিছু কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। অনেকে ভিক্ষুক ছিলেন, অনেকে রাস্তার পাশে বসবাস করতেন তাদেরকে আমরা এসব আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা করে দিয়েছি। তাদেরকে যুব উন্নয়নের মাধ্যমে বেশকিছু প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল পালনসহ কিছু চাষাবাদ তাদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। সবাই যাতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারে। প্রত্যেকটি ঘরে ১০টি করে বস্তা দেওয়ার। এতে তারা আদা চাষ করবে ও আদার চাহিদা পূরণ হবে। এ চাষটা শিখলে ভবিষ্যতে তারা এটিকে সম্প্রসারিত করতে পারবে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- ‘আমি ভীতু, আসিফ ভাই সাহসী, এজন্য তার বেশি সম্মান প্রাপ্য’
- ‘একজন দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি আর কতদিন টিকবে’
- পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- রাস্তার পাশে পড়ে ছিল ফেরিওয়ালার লাশ
- বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা
- সামগ্রিক উন্নয়নে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে
- রংপুরের মিঠাপুকুরে এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
- রংপুরে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি শুরু
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি করে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা
- ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ওপর হামলা চালাতে পারে দখলদার ইসরায়েল
- আফগানিস্তানে রাস্তাঘাটের নামকরণ হবে ধর্মীয় মূল্যবোধ অনুযায়ী
- ভারতে তিন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
- হিজবুল্লাহর তিন কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
- কাহারোলে বস্তায় সবজি চাষ করে সাফল্য
- শেষ সময়েও একা ছিলেন মনি কিশোর
- যে কারণে শিক্ষানবিশ পুলিশ সুপারদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
- ২৯ হাজার তরুণকে দেওয়া হবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ
- সবচেয়ে বড় ও উঁচু পিরামিডের চূড়ায় জীবন্ত কুকুর, অবাক বিশ্ব
- তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ
- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভটভটি উল্টে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত
- ছাত্রাবাসে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- চোর ধরিয়ে দিলে পুরস্কারের ঘোষণা বেরোবি প্রক্টরের
- বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে
- রংপুর বিভাগে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির, প্রধান শিক্ষক শিউলি
- হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ
- ইউটিউবে দেখে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন নীলফামারীর কৃষকরা
- ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে ১১টি ল্যাডার গাড়ি হস্তান্তর
- চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে গণফোরাম
- এবছর রংপুরের তিন নদীতে ধরা পড়েছে সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ
- গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রীলংকা যেভাবে বামপন্থীদের হলো
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯ মাদক ব্যবসায়ী আটক
- তেঁতুলিয়ায় ১৪ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
- কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মিজানুর রহম
- কুকুরের কামড়ে হাসপাতালের নার্সসহ ১৪ জন আহত
- বৃষ্টিতে খেলা বিঘ্ন হওয়ায় হতাশ শান্ত
- রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে প্রতি কিলোমিটারে ১০০ গর্ত
- পঞ্চগড় চিনিকল পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন
- দুর্গাপূজায় বাংলাবান্ধায় ৬ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ
- ফোল্ডেবল আইফোন আসছে কবে?
- কুড়িগ্রামে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ ছাত্র-জনতার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শনিবার শুরু
- সম্পদের হিসাব দিতে হবে ইসি কর্মকর্তাদের
- এবার স্বচ্ছ ইয়ার ফোন আনলো নাথিং
- চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
- ব্রেইন ভালো রাখবে এই ৫ খাবার
- উলিপুরে বিদ্যুস্পৃষ্টে এক গৃহবধূর মৃত্যু
- চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন
- ডেঙ্গুতে আরো ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬০