• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হিমশীতল বাতাসে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩  

হিমশীতল বাতাসে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা উঠেছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা ঝরা হিমশীতল বাতাসে শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়। এতে করে জনজীবনে নেমেছে স্থবিরতা।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের চেয়ে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত দুদিন ধরেই তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ডের পর আজ রোববার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর শুরু হয় হিমেল বাতাস। সে বাতাসে রাত ৯টার মধ্যে শহরের হাটবাজার জনশুন্য হয়ে পড়ে। ভোর থেকেই কুয়াশার আবরণে দেশের এ প্রান্তিক জেলা। তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা ঝরা ঠান্ডা বাতাসের কারণে নেমে এসেছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কাজে বের হলেও শহরের অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে শীত উপেক্ষা করেই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও নির্বাচনী সভার মধ্য দিয়ে শীতে ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।  

আকবর আলী, জাবেদ ও নুরুল ইসলামসহ স্থানীয়রা বলেন, কুয়াশা আর বাতাসের কারণে ঠান্ডা লাগতেছে। ১৪/১৫ দিন পর গতকাল ভোর থেকেই কুয়াশা। কনকনে শীতের তীব্রতা না থাকলেও হিমেল হাওয়ার কারণেই বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

পাথর শ্রমিক আরশেদ, জামাল ও জুয়েল বলেন, আজ বছরের শেষ দিনে বেশ কুয়াশা। এ সময়টা চা পাতার কাজ কমে গেছে। দুদিন ধরে আবার কুয়াশা। তবে কী আর করব, কাজে বেরিয়েছি।

এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গতকাল শনিবারের চেয়ে আজ রোববার তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। রোববার সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা বেশি পড়লে তাপমাত্রা বাড়ে। এ জেলা হিমালয় বিধৌত এলাকায় অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –