খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকিতে নেই বাংলাদেশ
প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২২
বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকির মাত্রা ভয়ানকভাবে বেড়ে গেছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী অভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়বে। একইসঙ্গে আগামী দুই বছর বিশ্বের প্রায় সব দেশে দারিদ্র্যের সংখ্যাও বেড়ে যাবে।
খাদ্য দুষ্পাপ্য হওয়ায় অপুষ্টিজনিত রোগব্যাধি যেমন বাড়বে, তেমনি মানুষের মধ্যে পুষ্টিহীনতাও বাড়বে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা খাদ্য নিরাপত্তার বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। তবে এই ঝুঁকিতে বাংলাদেশ নেই। কিন্তু বাংলাদেশসহ অনেক দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘হালনাগাদ খাদ্য নিরাপত্তা সূচক’ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন দেশ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেগুলোও তুলে ধরেছে। ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলো যাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারে সেজন্য তারা কিছু সুপারিশও করেছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ থেকে চাল রপ্তানি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। ২৯ জুন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। এ ছাড়া ভারতসহ আরও অনেক দেশ নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করছে না বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। এ ধরনের ৫টি সংস্থা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যপী খাদ্যপণ্য রপ্তানি ও পরিবহণে নতুন এসব বাধা অপসারণের প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি কমাতে ধনী দেশগুলোকে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল করার তাগিদ দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশকেও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আগামীতে আরও বাড়বে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি বিশ্বব্যাপী বেড়ে যাচ্ছে। আগামীতে এ ঝুঁকি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের পাইপে লিকেজ দেখা দিয়েছে। এতে গ্যাস সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গ্যাস থেকে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর অন্যতম উপকরণ সার উৎপাদিত হচ্ছে না। বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ ইউরিয়া সার ইউরোপ থেকে সরবরাহ করা হয়। গ্যাসের সংকটে একদিকে সারের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কৃষি উপকরণের দামও বাড়ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। এতে কৃষিপণ্যের দামও বাড়বে।
তবে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কৃষিপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৩ শতাংশ কমেছে। কিন্তু আগামীতে এর দাম আবার বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বল্প, মধ্য ও উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখনও অনেক বেশি। এ হার বেড়েই চলেছে। আগামীতে এ হার আরও বাড়তে পারে। কয়েকটি দেশে এ হার বেড়ে খাদ্য দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে। ৮৮ শতাংশ স্বল্প আয়ের দেশে, ৯১ শতাংশ মধ্য আয়ের দেশে ও ৯৩ শতাংশ উচ্চ আয়ের দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখন ৫ শতাংশর উপরে রয়েছে। এসব দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ডাবল ডিজিটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। ইতোমধ্যেই অনেক দেশে এ হার ডাবল ডিজিট অতিক্রম করেছে।
খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে যে ১০টি দেশ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে, জিম্বাবুয়েতে ৬৮ শতাংশ, লেবাননে ৩৬ শতাংশ, ইরানে ৩২ শতাংশ, শ্রীলংকায় ২২ শতাংশ, হাঙ্গেরি ১৮ শতাংশ, কলাম্বিয়া ১৫ শতাংশ, জিবুতি ১৪ শতাংশ. রুয়ান্ডা ১৪ শতাংশ এবং বুর্কিনা ফাসোয় ১০ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, হাইতি, নাইজার, কেনিয়া, মালাউ, বুর্কিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, আফিকান রিপাবলিক, চাদ, মাদাগাস্কার এবং মালি। এসব দেশের অনেক মানুষ খাদ্য নিরাপত্তায় ভুগবে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষই তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে। এর প্রভাবে দারিদ্র্য বাড়বে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- হুন্ডি বন্ধে কঠোর সরকার
- ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়
- বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালো আর্জেন্টিনা ফুটবল
- যেভাবে ওষুধ ছাড়া সাইনাস দূর করবেন
- শেখ হাসিনাই পাহাড়ে উড়িয়েছেন শান্তির পতাকা
- ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন চলতি মাসেই
- কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা শুরু
- রাজধানী ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলে রেল যোগাযোগের জন্য নতুন রেলপথ
- ইউরোপে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ
- উদ্বোধনের পরদিনই মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন যাত্রীরা
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ১০ হাজার পদ বাড়ছে
- বাড়িতে বাবার লাশ রেখে পরীক্ষা দিল লিপি
- রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা: তারামন বিবির চলে যাওয়ার চার বছর
- বিয়ের আসরে গয়না নিয়ে ঝগড়া, কনের দাদিকে পিটিয়ে মারলেন ‘বর’
- খাবার চেয়ে মনোয়ারা পেলেন ঘর
- দাম্পত্য সম্পর্কে সন্দেহ দূর করবেন যেভাবে
- মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- পাহাড়ের পরিবেশ অশান্ত করেছেন জিয়া: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
- বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের কাছে কখনো হারেনি ব্রাজিল
- আমাকে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সব দিকেই টর্চার করেছে: সারিকা
- জুমার দিনে যে সময়ে দোয়া কবুল হয়
- শর্তসাপেক্ষে পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি বাইডেন
- ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির অনন্য নিদর্শন’
- ‘পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর’
- পীরগঞ্জে চোর সন্দেহে মধ্যযুগীয় কায়দায় শিশু নির্যাতন, আটক ৩
- পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে
- নারী পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে: শিক্ষামন্ত্রী
- রসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
- ‘গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচন আগামী সপ্তাহে’
- কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা: পাতকুয়ার সেচে কম খরচে লাভবান কৃষক
- ‘রাজের সঙ্গে তোর মাখামাখিটা আমার সংসার ঝামেলা করে দিচ্ছে’
- ডিজিটাল হচ্ছে প্রাইমারি
- লঘুচাপ সৃষ্টি নিয়ে যে তথ্য আবহাওয়া অফিসের
- দুই সন্তানের দাফন সম্পন্ন, লাশ দেখতে দেওয়া হলো না মাকে
- কিশোরগঞ্জে আগাম আলু: চাষিদের মাঝে আনন্দের বন্যা
- টিসিবির জন্য ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
- দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি বন্ধের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- পূর্বাচলের জন্য স্বতন্ত্র সিটি করপোরেশন করার চিন্তা
- পঞ্চগড়ের পরিত্যক্ত ঘর এখন ‘অপ্রতিরোধ্য বাংলা জাদুঘর’
- `বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে`
- আ. লীগ নয়, দেশের টাকা পাচার করেছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- দেশ ও জাতির স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে নগদ-মোস্তাফা জব্বার
- বোদা পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- জুমার দিনের সুন্নত সমূহ
- পথ হারিয়ে পঞ্চগড়ে লোকালয়ে হনুমান
- আদালতের নির্দেশে পঞ্চগড়ে উদ্ধারকৃত তক্ষক অবমুক্ত
- পঞ্চগড়ে তক্ষকসহ ৫ পাচারকারী ও প্রতারক আটক
- প্রশ্নপত্রে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি’ তদন্ত করবে শিক্ষা বোর্ড
- যে আমলে মৃত্যুর সময় কালেমা পড়া সহজ হয়


