• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ দেশে আসবে বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২  

অমর একুশের গানের রচয়িতা, প্রবীণ সাংবাদিক, কলাম লেখক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ বুধবার (২৫ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। আশা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) তার মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।

শুক্রবার (২০ মে) রাজধানীর ইস্কাটনে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ব্রিটিশরা সোমবারে অফিস খুলে হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট দিলে পরবর্তী ফ্লাইট হবে বুধবার। বিমানের ফ্লাইট। বুধবারে হয়ত লাশটা পাঠানো যাবে। বৃহস্পতিবার আমরা ঢাকায় পাব।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, গাফ্‌ফার চৌধুরী ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত প্রায় তিন মাস তিনি বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) আশিকুন্নবী চৌধুরী জানান, গাফ্‌ফার চৌধুরীর অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশেই তাকে কবর দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় লন্ড‌নের বাংলাদেশ হাইক‌মিশন জানায়, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ আগামী সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ বাংলাদেশে নেওয়ার দিনক্ষণ হাসপাতালের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করছে।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া গ্রামে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্কুলে পড়ার সময় কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত কংগ্রেস হিতৈষী পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তার প্রথম গল্প ছাপা হয় সওগাত পত্রিকায়। পরে দৈনিক ইনসাফ, দৈনিক সংবাদ, মাসিক সওগাত, মাসিক নকীব পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জয় বাংলা, যুগান্তর ও আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেন।

সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ইউনেসকো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মানিক মিয়া পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গাফ্‌ফার চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –