– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –
ব্রেকিং:
রংপুরসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত
  • মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩০

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রংপুরসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত রফতানি আয়ে সুবাতাস: সেপ্টেম্বরে এলো ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ সুন্দরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুলছাত্রীর অনশন পীরগাছায় বীর নিবাস পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব পীরগাছায় জলাবদ্ধতা নিরসনের ৫ কিমি ড্রেনেজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা দিনে বাড়ছে রাতে কমছে

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২  

শীতের সকালে কুয়াশা হওয়ার কথা থাকলেও ঝকঝকে রোদের দেখা মিলছে পঞ্চগড়ে। তবে উঠানামা করছে তাপমাত্রা। সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে পঞ্চগড়ে। সকাল ১০টার পর থেকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। আর সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়ে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চগড়ে বর্তমানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল বুধবার ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরেই ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে।

এ দিকে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার কথা থাকলেও তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বুধবার বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে দিনে বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে আগেই শীত নামে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকে। তবে এবার নভেম্বরে আমরা দু’রকম আবহাওয়া অনুভব করছি। কুয়াশা হচ্ছে না সকালে। সকাল ৯টার পর থেকেই বাড়তে থাকে রোদ আর তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই শীতের মাত্রা বাড়তে থাকে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত খুব শীত অনুভূত হয়।

দিনে-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানান শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে রোগীদের। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই থেকে তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা উঠানামা করছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় জেলায়  ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –