• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

রোমে বাংলা নববর্ষ, রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলা নববর্ষ ১৪২৯, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে। রোববার (২২ মে) দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।

দূতাবাস জানায়, আয়োজনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের পরে বাংলা নববর্ষ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন, কর্ম ও দর্শন নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও দূতাবাসের-সদস্য ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে বাংলা নববর্ষকে বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনার উৎস এবং একান্তই নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শাশ্বত বাহক হিসেবে অনন্য এক উদযাপন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাঙ্গালি জাতির নিজস্ব পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম দিনটি নববর্ষ হিসেবে দেশের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশেও বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপিত হয়।

রাষ্ট্রদূত আহসান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলা নববর্ষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের ওতপ্রোত ভূমিকা উপলব্ধি করে বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রবর্তন করেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেই বাংলাদেশের রবীন্দ্র চর্চার বিকাশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামেও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাঙালির জাতীয় জীবনের সাথে সর্বদা প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তাদের বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান দুই স্তম্ভ এবং বিশ্ব-সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নববর্ষ, রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেবেন।

আলোচনায় অংশ নেন বিশ্বখ্যাত অধ্যাপক জর্জিও মিলানেত্তি। তিনি তার বক্তব্যে সংস্কৃতির বহমানতাকে দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দেন এবং ইতালি ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে উভয় দেশের মাঝে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে বলে মত প্রকাশ করেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –