• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

পদ্মাসেতু উদ্বোধনের খবরে উচ্ছ্বসিত শরীয়তপুরবাসী

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২  

আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ কথা শুনে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত শরীয়তপুরবাসী। উদ্বোধনের খবরে মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর নির্দেশনায় আনন্দ মিছিল করেছে শরীয়তপুর জেলা ও জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগ।

জাজিরার বাসিন্দা এমডি ওমর ফারুক, রুবেল হোসেন, রিয়াজ মাহমুদসহ অনেকেই বলেন, আমরা আগে ফেরি, লঞ্চ, ট্রলার ও স্পিডবোট দিয়ে ঢাকায় আসা-যাওয়া করতাম। এখন পদ্মাসেতু হওয়ায় সময় অনেক কম লাগবে। আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘোষণায় আমরা আনন্দিত-উচ্ছ্বসিত।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর গ্রামের শেখ মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন হবে। আমাদের যাতায়াতের দ্বার খুলে যাবে। বিশেষ করে গোপালগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। উদ্বোধনের কথা শুনে মন ভালো হয়ে গেল।

পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের ও শরীয়তপুরের মানুষের স্বপ্ন ছিল পদ্মাসেতু। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হবে।

শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপু বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। পদ্মাসেতু উদ্বোধন হবে এটা অনেক আনন্দের।

২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মাসেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর মূল সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। এটি বসানো হয় সেতুর জাজিরা প্রান্তে। সেই থেকে তিন বছর ২ মাস ১০ দিনে সেতুর সব স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পুরো পদ্মাসেতু। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিয়ারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। প্রথম স্প্যান বসার পর শেষ স্প্যান বসতে সময় লাগে এক হাজার ১৬৭ দিন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –