• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ইতিহাসে জিয়া খুনি ও বিশ্বাসঘাতক: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২২  

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলো এই জিয়াউর রহমান। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে। তাই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনী এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে, সেজন্যই বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করেনি। গতকাল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন, বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করেনি। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এরপরে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও  বিএনপি দুই দফা ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার তারা করে নাই।

বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ইদানিং বিএনপি নামসর্বস্ব নানা দল- যে সমস্ত দলের সভাপতি আছে কিন্তু সাধারণ সম্পাদক কে তা কেউ বলতে পারে না, তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। বিষয়টা হাস্যকর। এ সমস্ত সাইনবোর্ডসর্বস্ব দলের সঙ্গে বৈঠক করে সংবাদ পরিবেশন করা ছাড়া আর কি হবে আমি জানি না। কারণ তাদের শুধু সাইনবোর্ড ছাড়া আর কিছুই নেই।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে একাডেমির পরিচালক (চারুকলা) মিনি করিম, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন আহমদ বক্তব্য রাখেন। 

আলোকচিত্রীদের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের একশ’ ছবি এবং দেশের প্রকৃতির একশ’ ছবি নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার তিন নম্বর গ্যালারিতে সকলের জন্য উন্মুক্ত।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –