• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

শীতেও ত্বক থাকুক সতেজ

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২  

শীতেও ত্বক থাকুক সতেজ                                  
ক্যালেন্ডারের পাতায় গরম যাই যাই করছে! সূয্যি মামা শেষ মুহূর্তেও দেখিয়ে যাচ্ছে তার প্রতাপ। যা আপনার ত্বকের বারোটা বাজাতে অত্যন্ত কঠিন পণ নিয়ে নেমেছে। এ সময় চাই বাড়তি যত্ন। ত্বককে সুন্দর তরতাজা আর উজ্জ্বল রাখতে হলে অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে ত্বক বুড়িয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে একটি ছাতা বা টোকা জাতীয় টুপি ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা এগুলোকে রুচিসম্মত মনে না করেন তারা যেকোনো একটি উৎকৃষ্ট সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কোন সানস্ক্রিন আপনি ব্যবহার করবেন? এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার ত্বকের রং বিবেচনায় আনতে হবে। যে ত্বকের রং যত সাদা সে ত্বক সূর্যালোকে তত বেশি নাজুক। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা। তাই এখন থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যত্ন। এতে শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

নিয়ম মেনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
শীতের সময়ে ত্বক মসৃণ রাখতে ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের শরীরের যেসব অংশ বেশি শুষ্ক থাকে যেমন হাত, পা, হাঁটু, কপাল, পায়ের গোড়ালি ইত্যাদিতে রাতে শোবার আগে ভালো করে ক্রিম মেখে তারপর মোজা পরে নিলে সকাল পর্যন্ত ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। প্রতিদিন সকালে, গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজড ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে রুক্ষ ত্বকও হয়ে উঠবে ঝলমলে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি ও সবজি খাওয়া উচিত।

পর্যাপ্ত পানি পান করা
পর্যাপ্ত পানি পান করা এমন একটি অভ্যাস যা আমরা প্রায়ই ব্যস্ত জীবনের তাড়াহুড়োতে ভুলে যাই। পানি শরীর যাবতীয় টক্সিন বার করে দিতে সাহায্য করে, দেহকে ঔজ্জ্বল্য দেয়। এটি আপনার শরীর থেকে ময়লা বার করে দেয় এবং আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও উন্নত করে। জল নিয়মিত খেলে তা এই অতিমারি কবলিত সময়ে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেহকে শক্তিশালী করে তোলে। তাই নিজের খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি পানি খেতে ভুলে যাবেন না।

পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের ক্ষেত্রে কখনই আপস করবেন না। আট ঘণ্টা থেকে ছয় ঘণ্টার টানা ঘুম দেহের জন্য অপরিহার্য। ঘুম আপনার শরীরের রক্তপ্রবাহকে যথাযথ সঞ্চালন করতে সহায়ক হয়। এ ভাবে সারা দিনের ক্লান্তিও মুছে দেয় ঘুমই। পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে চেহারাতেও থাকে চনমনে ভাব, যা সার্বিক ভাবে আপনার ত্বকেও বোঝা যায়।

যথাযথভাবে শীতবস্ত্র পরিধান
শীত থেকে নিজের ত্বককে বাঁচাতে যথাযথ ভাবে সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, মোজা ইত্যাদি পরে থাকা দরকার। না হলে শরীরের ভিতরে তৈরি হওয়া অসুস্থতার পাশাপাশি ত্বকও হয়ে পড়বে নিস্তেজ এবং খসখসে। যদিও প্রয়োজন না থাকলে অতিরিক্ত শীতের জামাকাপড় দেহে রাখলে ঘেমে গিয়ে দেখা দিতে পারে অন্য সমস্যা।

যথাযথ নিয়মে গোসল
গোসল করা সব ঋতুতেই অত্যন্ত জরুরি। আর শীতকালে সবচেয়ে লোভনীয় হচ্ছে গরম পানি দিয়ে গোসল করা। বাথরুমে গরম পানির শাওয়ার থাকলে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে দীর্ঘ সময় গরম পানি আপনার ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এই আবহাওয়ায় গরম পানি গায়ে ঢালবেন না। বরং স্নানের আগে মাঝে মধ্যে গোটা গায়ে রাসায়নিক বিহীন তেল মালিশ করলে কাজ হবে ম্যাজিকের মতো।

সানস্ক্রিন ব্যবহার
শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোটা জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে। গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

ঠোঁটের পরিচর্যা ও মেকআপ
কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না। মেকআপ করার সময় লিক্যুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। শীতকালে ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।

চুলের যত্ন
শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যায়। চুল এবং মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট পরুন। তবে হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।

হাত ও পায়ের যত্ন
হাত এবং পায়ের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যতবার প্রয়োজন ততবার লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –