• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বছরের শেষ সূর্যের বিদায় সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২৩  

বিদায় নিয়েছে ২০২২ সালের শেষ সূর্য। সেই ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে শনিবার সূর্যাস্তের সময় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ভিড় জমিয়েছেন নানা বয়সের মানুষ।

এদিকে রাত পোহালেই শুরু হবে নতুন বছরের পথচলা। ৩৬৫ দিনের সফলতা-ব্যর্থতা পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর আহ্বানে ৩১ ডিসেম্বর রাতে পালন করা হয় থার্টিফার্স্ট নাইট বা বর্ষবরণ উৎসব। নতুন বছরে সবার প্রত্যাশা ২০২২ সাল যেমন সবাই মিলেমিশে কাটিয়েছে সেভাবে কাটুক ২০২৩।

দর্শনার্থীরা জানান, শনিবারের এই সূর্য পশ্চিম আকাশে ডুব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদায় নিয়েছে ঘটনাবহুল ২০২২ সাল। স্মৃতি হয়ে গেছে আরো একটি বছর। রোববার পথচলা শুরু হবে ২০২৩ সালের। এ বছরের বিদায়ী সূর্যের বিকিরণ ক্ষণে সবার প্রত্যাশা নতুন বছর যেন সংকটমুক্ত হয়।

এদিকে নতুন বছরে কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় নেই কোনো আয়োজন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন বলছে, করোনা মহামারি আর রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে বেশ কয়েক বছর সৈকতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হয়নি। এবারও কক্সবাজারে থাকছে না কোনো আয়োজন। তবে, নিয়মরক্ষায় তারকা হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইনডোর প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। হোটেলের অতিথি, বিদেশি পর্যটক ও বিশেষ মেহমান ছাড়া এসব অনুষ্ঠানে অন্যদের যোগ দেওয়ার সুযোগ নেই।

থার্টি ফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আউটডোর আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে ভোর ৬টা পর্যন্ত। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থার্টিফার্স্ট নাইটের অংশ হিসেবে সমুদ্রসৈকত বা কোনো উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, অনুষ্ঠান, আতশবাজি, গানবাজনা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন করা যাবে না। ইনডোর বা হোটেলেও অনুষ্ঠান সীমিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইনডোরে কোনো আয়োজন করলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।

আবু সুফিয়ান আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে কাজ করবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল জোরদার রাখবে। এই নিষেধাজ্ঞা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি শেহরিন আলম বলেন, বিগত সময়ের অভিজ্ঞতায় এবারও বছরের শেষ দিনে লাখো পর্যটক উপস্থিতির কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সৈকতের আশপাশে টহল জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সচেতনতামূলক মাইকিংও করা হচ্ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –