পানচাষে স্বাবলম্বী ছয়ঘরিয়ার সাড়ে তিনশ পানচাষি
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

পানচাষে স্বাবলম্বী ছয়ঘরিয়ার সাড়ে তিনশ পানচাষি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের একটি জনবহুল গ্রাম ছয়ঘরিয়া। গ্রামটির গোড়াপত্তনের সময় মাত্র ছয়টি পরিবার বসবাস করতো। তখন থেকেই গ্রামটির নাম হয় ‘ছয়ঘরিয়া’। বর্তমানে এ গ্রামে এক হাজার পরিবারের বসবাস। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবারই পানচাষ করে।
প্রায় অর্ধশতাধিক বছর ধরে পানচাষ করে আসছেন তারা। পানচাষই এ গ্রামের পরিবারগুলোর উপার্জনের প্রধান উপায়। পানচাষের সুবিধা হলো বহুবর্ষজীবী হওয়ায় বারবার লাগানোর খরচ নেই। ৫-৬ দিন অন্তর পান পাতা তুলে বাজারে বিক্রি করা যায় বছরভর।
ছয়ঘরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামটির চারপাশে যেদিকে চোখ যায় কেবলই পানের বরজ। কৃষকরা বরজের পরিচর্যা করছেন। বরজ থেকে পান সংগ্রহ করে বাড়ির উঠানে এনে স্তূপ করে রাখছেন। সেখানে পরিবারের সদস্যরা মিলে পান বাছাই করে আলাদা করে রাখছেন। গ্রামটিতে বর্তমানে সাড়ে তিনশ পানের বরজ রয়েছে।
চাষিরা জানান, উঁচু জমিতে পানের আবাদ করতে হয়। জমি তৈরির পর চারদিকে বেড়া ও ওপরে ছাউনি দিতে হয়। তারপরে পানের ডাল (পর) রোপণ করতে হয়। পানগাছ ওপরে বেয়ে উঠতে মাসখানেক পর শলা দিতে হবে। ৫০-৬০ দিনের মধ্যে পান বিক্রি করা যায়। পরিচর্যা ভালো হলে বরজটি একটানা ৮-১০ বছর রাখা যায়। খরচ যা হওয়ার তা শুরুতে হয়। পরে আর তেমন কোনো খরচ লাগে না। সে কারণে পানচাষ বেশ লাভজনক।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছয়ঘরিয়া গ্রামটিতে ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৭০০। পরিবার আছে প্রায় এক হাজার। ছোট-বড় মিলিয়ে পানের বরজ আছে ৩৫০টি। ১৯৯৮ সালের আগ পর্যন্ত এ এলাকায় দেশি পানের চাষ হতো। কিন্তু প্রতিযোগিতার বাজারে সেই পান টিকতে পারেনি। নদীভাঙনে টানা পাঁচ বছর পানচাষ হয়নি এই এলাকায়। পরে ২০০৩ সালের দিকে তালতলী ও বিক্রমপুরী এ দুই জাতের পান দিয়ে আবারও চাষ শুরু।
তালতলী পান সংগ্রহ করা হয় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মোহনপুর এলাকা থেকে। আর বিক্রমপুরী পান সংগ্রহ করা হয় মুন্সিগঞ্জ এলাকা থেকে। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এ পান এখন রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।
পানচাষি লাল মিয়া (৬০) জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ এলাকায় কবে থেকে এ আবাদ শুরু হয়েছে জানি না। তবে দাদার আমল থেকে দেখে আসছি। নিজেও করেছি তবে কম। এবার মাত্র পাঁচ কাঠা জমিতে চাষ করেছি। মাটি, বাঁশ, কাশিয়া (ছাউনির উপকরণ) ও জুনসহ (একধরনের তার) সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। কাজের লোকও পাওয়া যায় না। সে কারণে পানচাষ কমে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেয়ে দুটিকে বিয়ে দিয়েছি। বড় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছোট ছেলে স্থানীয় এক কলেজে পড়ছে। ছেলে দুটোর গতি হলেই এসব ছেড়ে দেবো ভাবছি।’
একই গ্রামের মমিনা বেওয়া (৫০) বলেন, ‘কয়েক বছর আগে স্বামী মারা গেছে। পান বিক্রি করেই দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। বড় ছেলে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেজ ছেলে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে অনার্স ও ছোট ছেলে এবার এসএসসি দিয়েছে। বসতবাড়িসহ মোট জমি ৪০ শতাংশ। এরমধ্যে ১৭ শতাংশে পান লাগিয়েছি। সপ্তাহে এক গাদি করে পান তোলা যায়। বিক্রি হয় ৪-৫ হাজার টাকা। তবে বর্ষাকালে আরও বেশি পান তোলা যায়। পান বিক্রির অর্থ দিয়েই সব চলছে।’
আরেক পানচাষি আমজাদ হোসেন বলেন, পানের বরজ থেকে সারা বছরই পান সংগ্রহ করা যায়। তবে শীতকালে তুলনামূলক কম পান উৎপাদন হয়। কারণ শীতকালে পান পাতা বাড়ে কম। এসময় উৎপাদন কম হলেও বাজারে দাম থাকে বেশি।
চাষিদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের কাউকে তারা চেনেন না। প্রয়োজনে ফোন করলেও তাদের পাওয়া যায় না। পানচাষ টিকিয়ে রাখতে টিএসপি সারের দাম কমানোসহ পর্যাপ্ত সরবরাহের দাবি জানান তারা।
স্থানীয় উজান তেওড়া টিইউএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী সরকার বলেন, পানচাষ করেই ছয়ঘরিয়া গ্রামের মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। এখানকার পান স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে জেলার বাইরেও যাচ্ছে। পানের আবাদ ধরে রাখলেই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না ছয়ঘরিয়াবাসীকে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন, দিন দিন এ উপজেলায় পানচাষ বাড়ছে। অন্যান্য ফসল আবাদের তুলনায় পানচাষ লাভজনক।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- বইমেলার পর্দা উঠছে বুধবার
- চিলমারীতে ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
- পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- ভাতিজা হত্যায় ১০ হাজার টাকায় লোক ভাড়া করেন চাচা
- রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সতর্ক রয়েছি: র্যাব ডিজি
- সারা দেশে বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা
- ব্যাপক উন্নয়ন বিবেচনায় নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
- গ্রামের মানুষ শহরের সুবিধা ভোগ করছে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
- ৫০-৭০ আসনে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে: ইসি রাশেদা
- বঙ্গবন্ধু রেলসেতু আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করবে: রেলমন্ত্রী
- মানবাধিকার রক্ষায় সব সহযোগিতা করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
- মেসিকে সঙ্গে আনতে বলেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- অপচয়-হয়রানি বন্ধে গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
- বিএনপির রাজনীতি ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে: কাদের
- কুড়িগ্রামে ৯৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, হাজতে দিতে ইউএনও’র কাছে আবেদন
- তিস্তার চরে অবৈধ মেশিন বন্ধে ফিল্মি স্টাইলে অভিযান
- ১৯১ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে চিঠি পাঠানো হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
- প্রতিটি জেলায় বিআরটিসির বিলাসবহুল বাস চলবে
- রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে ২ জাহাজ মোংলায়
- খুলনায় ১০৭ প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে ফসলের ঝিলিক
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী জাপান
- পাঠ্যপুস্তকের ভুল সংশোধন: ৭ ও ৫ সদস্যের ২ কমিটি
- রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরসা কমান্ডারসহ ৫ জন আটক
- বিদ্যুৎ-গ্যাস-তেলের দাম সমন্বয় করতে পারবে সরকার
- ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেল ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক’
- প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট উপহার দিলেন মেয়র লিটন
- জনগণের সঙ্গে পুলিশের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেল জাতীয় মানবকল্যাণ পদক
- বছরের শেষ সূর্যের বিদায় সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়
- `সব জেলায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস সেবা চালু হবে`
- জঙ্গি মোকাবিলায় নতুন বছরে আমরা প্রস্তুত: র্যাব ডিজি
- ঢাকা থেকে এ বছরেই ট্রেনে যাওয়া যাবে কক্সবাজার: রেলমন্ত্রী
- ১ টাকায় ভরপেট খাবার
- বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ আর নেই
- কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণে নীতিমালা অনুমোদন
- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা খর্ব করা যাবে না
- রংপুরে ১০ বিএনপি নেতা কারাগারে
- ছাদবাগানে সাজছে চিরিরবন্দরের প্রাথমিক স্কুলগুলো
- ভোলা নর্থ-২ কূপে গ্যাস, দৈনিক মিলবে ২ কোটি ঘনফুট
- লালমনিরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকাণ্ডে থানায় মামলা
- পূর্বাচল পানি সরবরাহ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন শেখ
- প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরির মেলা উদ্বোধন
- ‘গণমাধ্যমেই বিএনপির দুর্নীতি স্বরূপ উত্থাপিত হয়েছে বার বার’
- জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন ৪৬০ পুলিশ কর্মকর্তা
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অতিরিক্ত ৫ লাখ পাউন্ড দেবে যুক্তরাজ্য
- দেবীগঞ্জে দিনেদুপুরে গলাকেটে যুবককে হত্যা
- ৩০ বাড়িতে আগুন, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো গ্রাম