• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বসের সমালোচনা করার আগে পাঁচ বার ভাবুন

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২  

বসের সমালোচনা করার আগে পাঁচ বার ভাবুন                      
আপনি হয়তো কাজের প্রতি নিবেদিত একজন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই অবনতি ঘটছে কাজের পরিবেশের। বিশেষ করে বসের কথাবার্তা-আচরণ কোনটাই পছন্দ হচ্ছে না।

প্রতিদিনই সকালে ঘুম থেকে উঠে যখনই ভাবেন, আবার কর্মক্ষেত্রে গিয়ে ঐ মানুষটির মুখ দেখতে হবে, তখন কাজে যাওয়ার ইচ্ছাটাই নষ্ট হয়। কিন্তু প্রতিযোগিতার বাজারে মেজাজ হারিয়ে হুট করে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাইতো? কথাগুলো কী মিলে যাচ্ছে?  

জেনে রাখুন কর্মক্ষেত্রে বসকে সমালোচনার আগে যা যা ভাবনায় রাখা উচিত:

>> সিনিয়র বা বসের সমালোচনা করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কী নিজের সেরাটা দিচ্ছেন? কর্মস্থানে আপনি কী অপরিহার্য কেউ হয়ে উঠতে পারছেন? জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের মূল্যায়নটা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে পারলে কাজে আরো উন্নতি করা সম্ভব। যদি শুধুমাত্র আপনার সঙ্গেই সিনিয়রের সমস্যা হচ্ছে, তাহলে সহকর্মীদের থেকে পরামর্শ নিতেই পারেন। হয়তো নিজের ত্রুটিগুলি নিজেই খুঁজে পাবেন।

>>সমস্যাই বেড়ে চলেছে, যার কোনো সমাধান নেই। এই ধারণা প্রথমে মন থেকে দূর করে দিন। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে সিনিয়রের সঙ্গে বসে আলোচনা করুন। কথোপকথনে নানা সমস্যা মিটে যাবে অনায়াসে। তবে কথা বলার সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন। দরকার হলে অন্য সিনিয়রদেরও উপস্থিত থাকতে বলুন। আপনার কথাবার্তাই কিন্তু আপনার ভাবমূর্তি বহন করে। তাই কর্মক্ষেত্রে তা নষ্ট হতে দেবেন না।

>>যদি বুঝতে পারেন আপনার সিনিয়র বা ম্যানেজার শুধুমাত্র আপনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃত খারাপ আচরণ করছেন, তাহলে বিষয়টি একটু স্মার্টলি সামলাতে হবে। সিনিয়রের কাছ থেকে অফিসিয়াল কাজগুলো ই-মেইলের মাধ্যমে নিন। যা যা কাজ আপনাকে দেওয়া হচ্ছে এবং আপনি করছেন তা এক জায়গায় নথিভুক্ত রাখুন। নিজের কাজের বিস্তারিত তথ্য ম্যানেজারকে ই-মেইল করুন। অতিরিক্ত কাজের চাপ অনুভব করলে সেটাও তাকে জানান। তাহলে কাজের ক্ষেত্রে সমস্ত তথ্য প্রমাণ যেমন আপনার কাছে থাকবে। তেমনই বসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তাও কম হবে।

>> একান্তই যদি কাজের পরিবেশে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়, তাহলে ভেতরে ভেতরে নতুন চাকরি খুঁজতে শুরু করে দিন। নতুন পরিবেশে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতেই পারেন। যদি সম্ভব হয় ঐ কর্মস্থানেই অন্য কোনো পদের জন্যও আবেদন করতে পারেন। এতে অন্য গ্রুপের সঙ্গে কাজের সুযোগ পাবেন।

>> মনে রাখবেন চাকরি জীবনে প্রত্যেকেরই কিছু সুবিধা-অসুবিধা থাকে। অন্যের অধীনে থেকে অর্থ উপার্জন করার কাজটা একেবারেই সহজ নয়। তাই ছোটখাটো বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোনো কথার কীভাবে উত্তর দিলে সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না, তা নিজেই ঠিক করে নিন। মনে রাখবেন চাকরিটা কিন্তু আপনার রুজি-রুটি। তাই পেটে লাথি মেরে বসকে হারানোয় কোনো কৃতিত্ব নিতে যাবেন না।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –