পঞ্চগড়ে ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

 
পঞ্চগড়ে নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারকরেছে ডিবি পুলিশ। আটককৃত ইঞ্জেকশনের মূল্য চার লাখ টাকা। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়িরা হলেন শাহিন ফেরদৌস (৩৮) ও সোহেল রানা (২৪)। রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

শনিবার রাতে তাদেরকে জেলার ধাক্কামারা এলাকায় আটক করা হয়। আটককৃত শাহিন ফেরদৌস জেলার সদর উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ও  সোহেল রানা একই উপজেলার চাত্রাডাঙ্গার আব্দুল আজিজের ছেলে। 

ডিবি পুলিশ জানায়, শনিবার জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে অভিযান চালায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন রংপুর থেকে সবুজ সিলভার রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ইনজেকশন (এ্যাম্পুল) নিয়ে আসা হচ্ছে। সে তথ্যানুযায়ী সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার বোদাগামী ট্রাক টার্মিনালের বিসিক মাঠের সামনে মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। এসময় রংপুর থেকে আসা মাইক্রোবাসটিকে থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। 

এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগ থেকে ১০টি লাল রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতর নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ১০০টি করে ইজিয়াম কাচের এ্যাম্পুল, যার প্রতিটির ওজন তরল পদার্থ মিশ্রিত ডায়াজেপাম ১০ মিলিগ্রাম ২ মিলি এবং ১০০টি করে ফ্যানেরেক্স ইন্ড ইনজেকশন, যার প্রতিটির ওজন তরল পদার্থ মিশ্রিত প্রমেথোজাইন হাইড্রোলিড বিপি ৫০ মিলি গ্রাম ২ এমএল করে সর্বমোট ওজন ৪শ মিলি (চার লিটার) যার মূল্য ২ লাখ করে ৪ লাখ টাকার নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা হয়। এসময় মাইক্রোবাসটিকেও জব্দ করা হয়।

পরে আটককৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকারোক্তি দিয়ে জানায়, দীর্ঘদিন যাবত তারা পঞ্চগড় সদরসহ আশপাশ এলাকায় এসব নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ইনজেকশন (এ্যাম্পুল) খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি ভাবে বিক্রি করে আসছিল। তারা নেশা জাতীয় ইনজেকশন (এ্যাম্পুল) বিক্রয়ের সক্রিয় সদস্য।

জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।