গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত সাড়ে ১০ হাজার ছাড়ালো

    
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের ৩২ দিন চলছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। তবে জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের দাবি মানতে একেবারেই নারাজ নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের অনবরত এ হামলায় বিগত ৩১ দিনে অঞ্চলটিতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১০ হাজার জনে। নিহতদের অর্ধেকেরই শিশু ও নারী। এছাড়া আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ হাজার। এছাড়া গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ শিশুসহ আড়াই হাজারেও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ এ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১০ হাজার ৫১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ জনই শিশু। নিহতের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২ হাজার ৮২৩ জন। এছাড়া ৬৪৯ জন বয়স্ক ফিলিস্তিনিও রয়েছেন নিহতদের তালিকায়। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার বাইরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নিহত হয়েছে আরও অন্তত ১৬৩ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরো ২ হাজার ৪০০ জন। গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর এখনো অন্তত ২ হাজার ৫৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে আবার ১ হাজার ৩৫০ জনই শিশু। 

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মনে করেন, গাজায় নিহত মানুষের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাই বলে দিচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের স্পষ্ট কিছু ভুল রয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গুতেরেস বলেন, আপনি যখন গাজায় নিহত বেসামরিক মানুষের সংখ্যা দেখবেন, তখন সেখানে সামরিক অভিযানের স্পষ্ট কিছু ভুল দেখবেন।