• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাঘের শীতে বাড়ছে কষ্ট, তাপ নেই সূর্যে 

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩  

মাঘের শীতে বাড়ছে কষ্ট, তাপ নেই সূর্যে                                
মাঘের শীতে জবুথবু জনজীবন। কনকনে শীতের সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশা। সূর্য উঁকি দিলেও নেই তেমন উত্তাপ। প্রচণ্ড ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন গরিব-অসহায় ও নিম্নআয়ের মানুষ।

টানা কদিন ধরেই তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের শেষ প্রান্তের জেলা পঞ্চগড়। রোববার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানকার তাপমাত্রা ৯ থেকে ৬ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে গত কয়েকদিন।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, প্রতি বছর অন্যান্য জেলার তুলনায় আগেভাগেই পঞ্চগড়ে শীত অনুভূত হয়। বিদায়ও নেয় দেরিতে। ১৫ দিন ধরে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরো হ্রাস পাবে। বাড়বে শীতের প্রকোপও।

এ জেলার কিছু কিছু এলাকায় সকালে সূর্যের আলো দেখা মিললেও থাকছে না উত্তাপ। কুয়াশার মধ্যে ঝাপসা রোদ লাগলেও পড়ছে না প্রভাব৷ সন্ধ্যা হতেই বয়ে যায় হিমেল হাওয়া। আর রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ।

এছাড়া কনকনে শীতের কারণে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পঞ্চগড় সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক।

পঞ্চগড় শহরের ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাঘ মাসের শীতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। কয়েক দিনের শীতের কারণে হঠাৎ আমার মেয়ের ঠান্ডা লেগে ডায়রিয়া হয়েছে। গ্রাম্যচিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করেছি। কিন্তু ভালো না হওয়ায় হাসপাতালে এনেছি।

মহানন্দা নদীতে পাথর তোলার শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, মাঘ মাসে এমন শীত পড়তে জীবনে কখনো দেখিনি। সূর্যের আলোও নেই। মহানন্দা নদীর পানি অনেক ঠান্ডা। এজন্য আগের মতো কাজ করতে পারছি না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, কয়েকদিন ধরে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে৷ এ সময়ে পঞ্চগড় জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –