• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

প্রধানমন্ত্রীর কোটি টাকা সহায়তা পেলেন ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানিরা

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩  

পঞ্চগড়ে মুসল্লিদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি টাকা মানবিক সহায়তা প্রদান করেছেন। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের ২০৬টি পরিবারের মাঝে এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বিপদে ফেলানোর চেষ্টা করা হয়। যা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও হয়েছে। এসব কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে বিএনপি-জামায়াত। তারা নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। অযথা কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। 

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে মুসল্লিরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও অসংখ্য টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় দুইজনের প্রাণহানি ঘটে। সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় চলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর, ট্রাফিক পুলিশের অফিসে অগ্নিসংযোগসহ জেলা শহরের কাদিয়ানিদের চারটি দোকান ও বেশ কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। 

এ সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা পঞ্চগড়। সেদিন রাত ৯টার দিকে জলসা স্থগিত ঘোষণা করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ৪ মার্চ সন্ধ্যার পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পঞ্চগড় শহর। গুজব ছড়িয়ে দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাটসহ শহরের ট্রাক-টার্মিনালে একটি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।  এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয় ১০ হাজারের বেশি। এসব মামলায় ১৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –